—ফাইল চিত্র
বিহারের তিন বিচারক বরখাস্ত হলেন অবশেষে। ২০১৩ সালে নেপালে বিরাটনগরের এক হোটেলে ‘মহিলাদের সঙ্গে আপত্তিকর অবস্থায়’ পাওয়া গিয়েছিল তাঁদের। নেপাল পুলিশ তখনকার মতো তাঁদের ধরেও ছেড়ে দেয়। পরে একটি নেপালি কাগজ বিষয়টি ফাঁস করে দিলে শুরু হয় বিচারের প্রক্রিয়া। হাইকোর্টের ধাপ পেরিয়ে জল গড়ায় সুপ্রিম কোর্টে। গত বছর সেপ্টেম্বরে তাঁদের বরখাস্তের পক্ষে পটনা হাইকোর্ট রায় দেয়। ২০১৯-এই সেই রায় বহাল রাখে শীর্ষ আদালত।
নিম্ন আদালতের ওই তিন বিচারককে বরখাস্তের প্রশাসনিক নির্দেশে বলা হয়েছে, এটি কার্যকর হবে ২০১৪ সালের ১২ ফেব্রুয়ারি থেকে। এবং অবসরের পরে নিয়মমাফিক বিচারকদের যা প্রাপ্য হয়, তার কিছুই পাবেন না হরিনিবাস গুপ্ত, জীতেন্দ্রনাথ সিংহ এবং কোমল রাম। ঘটনার সময় হরিনিবাস ছিলেন সমস্তিপুরের পরিবার আদালতের প্রধান বিচারক। জীতেন্দ্র ছিলেন অররিয়ার অতিরিক্ত জেলা বিচারক। এবং কোমল ছিলেন অররিয়ারই অতিরিক্ত বিচারক তথা মুখ্য বিচারবিভাগীয় ম্যাজিস্ট্রেট।
নেপালি সংবাদপত্র ‘উদ্ঘোষ’-এর প্রতিবেদনে জানা গিয়েছিল, বিরাটনগরে মেট্রো হোটেলে পুলিশ অভিযান চালালে এই তিন জনকে ‘মহিলাদের সঙ্গে আপত্তিকর অবস্থায়’ পাওয়া যায়। পরে ২০১৪ সালের ২৬ জানুয়ারি তাঁদের হেফাজতে নেওয়া হয়। জারি হয় বরখাস্তের আদেশ। সে বছর ফেব্রুয়ারিতে বরখাস্তের আদেশের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে আবেদন করেন তিন জন। ২০১৫ সালে প্রধান বিচারপতির নির্দেশে পাঁচ বিচারপতিকে নিয়ে একটি কমিটি গঠন করা হয়। তারা বরখাস্তের পক্ষেই সুপারিশ জানিয়ে দেয়। পরে যা কি না বহাল রেখেছে হাইকোর্ট ও সুপ্রিম কোর্ট। অপেক্ষা ছিল প্রশাসনিক নির্দেশের। ঘটনার সাত বছর পরে তা জারি হল।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy