দীর্ঘদিন ধরে গা ঢাকা দিয়ে থাকার পর অবশেষে উত্তরপ্রদেশের নেপাল সীমান্তবর্তী এলাকা থেকে পুলিশের জালে ধরা পড়ল এক দুষ্কৃতী। কেরলের মলপ্পুরমের বাসিন্দা শামনাদের বিরুদ্ধে ২২টি মামলা রয়েছে। তার মধ্যে রয়েছে ইউএপিএ মামলাও। সংবাদ সংস্থা পিটিআই অনুসারে, একটি জঙ্গি সংগঠনের সঙ্গেও তাঁর যোগাযোগ রয়েছে বলে সন্দেহ তদন্তকারীদের। কেরলের ত্রিশূর থানার পুলিশ এবং জঙ্গিদমন শাখার আধিকারিকদের একটি দলের যৌথ অভিযানে ধরা পড়েন শামনাদ।
জঙ্গি কার্যকলাপ রুখতে কিংবা দেশের অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তার নিশ্চিত করতে ইউএপিএ মামলা রুজু করা হয়। ২০১৬ সালে তদন্তকারী আধিকারিক সেজে একটি বাড়ি থেকে সোনার গহনা এবং অন্য মূল্যবান সামগ্রী চুরি করার অভিযোগ রয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে। প্রথমে ওই মামলায় স্থানীয় থানা তদন্ত চালালেও, পরে সেটির তদন্তভার যায় কেরল পুলিশের জঙ্গিদমন শাখার হাতে।
ওই মামলায় গ্রেফতারও হন শামনাদ। পরে জামিনে ছাড়া পান। কিন্তু এরই মধ্যে অন্য একটি মামলা রুজু হয় তাঁর বিরুদ্ধে। সেই সময় থেকেই অভিযুক্তের আর খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিল না। তাঁকে পলাতক বলে ঘোষণা করে কেরলের পুলিশ। সম্প্রতি গোপন সূত্রে কেরল পুলিশের জঙ্গিদমন শাখার কাছে খবর আসে শামনাদ উত্তরপ্রদেশে নেপাল সীমান্তবর্তী অঞ্চলে আত্মগোপন করেছেন। সেই মতো ত্রিশূর পুলিশের একটি দলকে সঙ্গে নিয়ে উত্তরপ্রদেশে অভিযান চালায় কেরল পুলিশের জঙ্গিদমন শাখা। ওই অভিযানেই গ্রেফতার করা হয় শামনাদকে।
আরও পড়ুন:
শামনাদ নেপাল সীমান্তে কী করছিলেন, তাঁর নেপালে পালানোর কোনও পরিকল্পনা ছিল কি না, তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। পাশাপাশি ওই সীমান্তবর্তী অঞ্চলে কে বা কারা তাঁকে লুকিয়ে থাকতে সাহায্য করছিলেন, সেটিও তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।