মুখোমুখি: সাংবাদিক বৈঠকে বিচারপতি কারনান। নিউ টাউনে। ছবি: স্নেহাশিস ভট্টাচার্য।
সুপ্রিম কোর্টের সঙ্গে সংঘাতের রাস্তায় তিনি যে অনড়ই আছেন, সোমবার আবার তা প্রবল ভাবে জানান দিলেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি চিন্নাস্বামী স্বামীনাথন কারনান।
কারনানের স্বাস্থ্য পরীক্ষার ব্যবস্থা করার জন্য সোমবার পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য পুলিশের ডিজি-কে নির্দেশ দিয়েছে সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি জে এস খেহরের নেতৃত্বাধীন সাত সদস্যের ডিভিশন বেঞ্চ। কলকাতার কোনও সরকারি হাসপাতালে মেডিক্যাল বোর্ড গড়ে স্বাস্থ্যপরীক্ষার পরে ৮ মে-র মধ্যে তার রিপোর্ট পেশ করতে হবে আদালতে। এই নির্দেশের পাল্টা হিসেবে কারনান এ দিনই লিখিত বিবৃতিতে বলেছেন, দেশের প্রধান বিচারপতি-সহ অভিযুক্ত বিচারপতিদের মানসিক রোগের চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যাওয়া দরকার। দিল্লি পুলিশের ডিজি-কে এ ব্যাপারে নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।
আইনজীবীদের একাংশ মনে করছেন, সুপ্রিম কোর্টের দায়ের করা আদালত অবমাননার মামলায় বিচারপতি কারনান যে-সব পদক্ষেপ করছেন, তাতে তাঁর মানসিক সুস্থতা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করছে শীর্ষ আদালত। সর্বোচ্চ আদালতের এ দিনের নির্দেশ হাস্যকর বলে মন্তব্য করে বিচারপতি কারনান প্রায় সঙ্গে সঙ্গেই প্রধান বিচারপতি এবং সংশ্লিষ্ট অন্য বিচারপতিদের মানসিক সুস্থতা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছেন।
আরও খবর: কাশ্মীর সমস্যায় মধ্যস্থতা করতে চান এরদোগান, প্রস্তাবে না দিল্লির
বিচার ব্যবস্থা এবং সুপ্রিম কোর্ট ও মাদ্রাজ হাইকোর্টের বিচারপতিদের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ তুলে প্রধানমন্ত্রীর দফতরে চিঠি লিখেছিলেন বিচারপতি কারনান। রীতি ভেঙে এমন চিঠি পাঠানোয় তাঁর বিরুদ্ধে স্বতঃপ্রণোদিত ভাবে মামলা রুজু করে শীর্ষ আদালত। কারনানের বিচার বিভাগীয় ও প্রশাসনিক দায়িত্ব সাময়িক ভাবে কে়ড়ে নেওয়া হয়। তিনি মামলায় হাজিরা না-দেওয়ায় সমনও জারি করা হয় তাঁর বিরুদ্ধে।
শীর্ষ আদালত জানায়, কারনান ৮ মে-র মধ্যে বক্তব্য না-জানালে ধরে নেওয়া হবে, আত্মপক্ষ সমর্থনে তাঁর কিছু বলার নেই। ডিভিশন বেঞ্চ এ দিন দেশের সব আদালত, ট্রাইব্যুনাল এবং কমিশনকে নির্দেশ দিয়েছে, ৮ ফেব্রুয়ারির পরে কারনানের জারি করা কোনও নির্দেশ বা রায়কে যেন কোনও রকম মান্যতা দেওয়া না-হয়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy