সদ্যোজাত রুবিনা
একরত্তি শিশু রুবিনা, কেঁদেই চলেছে যন্ত্রনায়। লিভারের অসুখে সে আক্রান্ত। রোগের প্রকোপ এতটাই যে একটু একটু করে তার জীবন শেষ হয়ে যাচ্ছে। দরিদ্রতার কারণে চিকিৎসা করাতে পারছেন না তার বাবা-মা। এমনটা যদি চলতে থাকে, তা হলে অচিরেই শেষ হয়ে যাবে একটা জীবন। এই মুহূর্তে সাহায্যের আর্তি জানাচ্ছেন তাঁরা।
এক বছর আগেও সবটা স্বাভাবিক ছিল। যখন রুবিনা জন্ম নেয়, তখন তার বাবা-মা’র উৎসাহ ছিল চোখে পড়ার মতো। এক লহমায় তাঁদের জীবন যেন আরও সুন্দর হয়ে উঠেছিল। যদিও সেই সুখ বেশিদিন স্থায়ী ছিল না। রুবিনার জন্মের কিছুদিন পরেই অন্ধকার ফের তাঁদের জীবন গ্রাস করতে শুরু করে।
জন্মের দিন কয়েক পরেই রুবিনা ভীষণ অসুস্থ হয়ে পড়ে। হঠাৎ করেই তার শরীরের তাপমাত্রা বাড়তে থাকে। চোখ হলদে হতে শুরু করে। কয়েক দিনের মধ্যেই রুবিনার পা ও পেট ফুলে ওঠে। প্রাথমিকভাবে পরিবারের কেউই বুঝতে পারেনি যে ঠিক কী ঘটছে।
যখন রুবিনাকে নিকটবর্তী হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়, চিকিৎসকেরা একাধিক পরীক্ষা করেন। রুবিনার মা জানাচ্ছেন, “ঘণ্টার পর ঘণ্টা কেটে যাচ্ছিল। সকাল গড়িয়ে সন্ধ্যে হয়ে এল। অবশেষে চিকিৎসকেরা আমাদের ভিতরে ডাকলেন।”
চিকিৎসকেরা জানালেন যে রুবিনা বিলিয়ারি অ্যাট্রেসিয়া রোগে আক্রান্ত। এটি লিভারের অত্যন্ত জটিল একটি রোগ। এবং এটি ম্যালিগন্যান্ট প্রকৃতির। যা ইতিমধ্যেই অনেকটা ক্ষতি করে দিয়েছে রুবিনার। অত্যন্ত উদ্বিগ্ন স্বরে, চিকিৎসকেরা বললেন, এই রোগ থেকে মুক্তি পেতে অত্যন্ত দ্রুত লিভার প্রতিস্থাপনের প্রয়োজন। অন্যথায় রুবিনাকে বাঁচানো যাবে না।
চিকিৎসকের কথা শুনে রুবিনার পরিবারের মাথায় যেন আকাশ ভেঙ্গে পড়ে। বার বার রুবিনার মা ভাবতে থাকেন, ‘মাত্র কয়েক সপ্তাহ আগে জন্মানো রুবিনা কী ভাবে এই যন্ত্রণা সহ্য করছে? কীভাবে সম্ভব?’ সম্বিত ফিরে পাওয়ার আগেই চিকিৎসক জানান যে এই প্রতিস্থাপনের খরচ ১৯ লাখ টাকা।
এর পরে প্রায় চার মাস কেটে গিয়েছে। এখন রুবিনার সঙ্গে হাসপাতালেই দিন কাটছে পরিবারের। কোনওভাবে স্বস্তির মুখ দেখতে পারেনি রুবিনা। প্রতিদিন সে ভয়ানক যন্ত্রণার সম্মুখীন হচ্ছে। চিকিৎসকদের পরামর্শ মতো ওষুধ খাইয়েও তেমন কোনও সুরাহা মেলেনি। শুধুমাত্র লিভার প্রতিস্থাপনই তার জীবন বাঁচাতে পারে। অথচ চিকিৎসার খরচ এতটাই বেশি যে পরিবারের কেউই জানে না আগামী সময়ে ঠিক কী হতে চলেছে।
রুবিনার বাবা দৈনিক মজুরিতে কাজ করেন। রুবিনার মা দীর্ঘদিন ধরে কিডনির সমস্যায় ভুগছেন। এই মুহূর্তে তাঁদের পক্ষে রুবিনার প্রতিস্থাপনের খরচ বহন করা অসম্ভব। এই পরিস্থিতিতে রুবিনার পরিবার কাতর কণ্ঠে আর্জি জানাচ্ছন তাদের পাশে দাঁড়ানো জন্য। এই পরিস্থিতিতে আপনারাই পারেন রুবিনার জীবন বাঁচাতে। সাহায্যের জন্য এগিয়ে আসুন।
এটি একটি স্পনসর্ড প্রতিবেদন। এই প্রতিবেদনটি ‘কেটো’-র সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে প্রকাশিত।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy