প্রতীকী ছবি।
বেলা একটায় স্কুল ছুটি হওয়ার কথা। ঠিক সময় ছুটিও হয়েছিল। দেড় ঘণ্টা পর বাড়ি না ফেরায় টনক নড়ে সাক্ষীর পরিবারের। শুরু হয় খোঁজ খবর। কেউ যান বন্ধুর বাড়িতে। কেউ ছোটেন স্কুলে। আর, স্কুলে যেতেই চক্ষু চড়ক গাছ ছোট্ট মেয়েটার আত্মীয়দের। কারণ, স্কুলের বাইরে থেকে তাঁরা দেখতে পান, ক্লাস রুমের দরজা বাইরে থেকে তালা বন্ধ। কিন্তু, দরজার ফাঁকে মাথা আটকে মেঝেতে পড়ে রয়েছে আট বছরের মেয়েটা। রীতিমতো কাতরাচ্ছে সে।
স্কুল ছুটি হয়ে গিয়েছে। ফলে স্কুলে কেউ নেই। বাধ্য হয়ে ক্লাস রুমের দরজা ভেঙে উদ্ধার করা হয় সাক্ষীকে। ততক্ষণে কেটে গিয়েছে প্রায় দু’ ঘণ্টা। অচৈতন্য অবস্থায় তাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। মেয়েটির অবস্থা আপাতত স্থিতিশীল বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা।
শাস্তি দেওয়ার নামে এমন এক অমানবিক ঘটনা ঘটেছে উত্তরপ্রদেশের আগ্রা থেকে ৮০ কিলোমিটার দূরে ধোবাই গ্রামে।
আরও পড়ুন: নতুন বন্ধু পেল ‘মোগলি গার্ল’
ঠিক কী ঘটেছিল শনিবার?
ঘটনার বিবরণ দিতে গিয়ে নাবালিকার কাকা দশরথ সিং জানান, আর পাঁচ দিনের মতোই গত কাল স্কুলে গিয়েছিল সাক্ষী। সরকার পরিচালিত ধোবাই প্রাথমিক স্কুলের গ্রেড-১ এর ছাত্রী সে। পড়া না পাড়ায় ছুটির পরও ক্লাস রুমে তাকে আটকে রেখে ছিলেন দিদিমণি অর্চনা গুপ্ত। বাইরে থেকে দরজাও বন্ধ করে করে দেওয়া হয়। পরে দরজার ফাঁক দিয়ে বাইরে আসার চেষ্টা করে ছিল ছোট্ট মেয়েটা। হাত-পা বার করতে পারলেও, আটকে যায় তার মাথা। এই অবস্থাতেই প্রায় দু’ঘণ্টা মেঝেতে পড়ে থাকে সে।
আরও পড়ুন: ঘুমের মধ্যেই মাকে কোপাল বাবা, ভয়ে সিঁটিয়ে থাকল সন্তানরা
এই ঘটনা জানাজানি হতে ওই শিক্ষিকা এবং স্কুল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ দেখান স্থানীয়রা। খবর দেওয়া হয় পুলিশেও। বাহ থানার সিনিয়র সাব ইন্সপেক্টর রাজেশ তোমর বলেন, ‘‘অভিযোগ পেয়েই পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে। উদ্ধার করা হয় মেয়েটিকে। অভিযুক্ত ওই শিক্ষিকা এবং প্রিন্সিপাল তারান্নুম পলাতক। তাঁদের খোঁজ চলছে।’’ অভিযুক্ত শিক্ষিকা এবং প্রিন্সিপালকে সাসপেন্ড করা হয়েছে বলেও জানিয়েছে স্কুল কর্তৃপক্ষ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy