ফাইল চিত্র।
করোনার টিকাকরণের আসন্ন পর্যায়ে ‘অন সাইট রেজিস্ট্রেশন’-এর সুযোগ পাবেন উপভোক্তারা। অর্থাৎ সরাসরি যে কোনও টিকাকরণ কেন্দ্রে গিয়ে নাম লিখিয়ে টিকা নিতে পারবেন তাঁরা।
প্রবীণ নাগরিক ও বিভিন্ন ‘ক্রনিক’ রোগে আক্রান্ত ৪৫ বছরের বেশি বয়সিদের টিকাকরণ ১ মার্চ থেকে শুরু করছে কেন্দ্র। আজ রাজ্যগুলির সঙ্গে এক বৈঠকে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যসচিব রাজেশ ভূষণ ও কেন্দ্রের অন্য কর্তারা টিকাকরণের খুঁটিনাটি ব্যাখ্যা করেন। কেন্দ্র জানিয়েছে, টিকার জন্য নাম নথিভুক্ত করা যাবে তিনটি পথে। প্রথমত, উপভোক্তা নিজেই ‘কো-উইন ২.০’ পোর্টালে গিয়ে অথবা আরোগ্য সেতু অ্যাপের মাধ্যমে আগাম নাম লেখাতে পারবেন। আধার কার্ড, ভোটার কার্ড বা যে কোনও একটি সচিত্র পরিচয়পত্র আপলোড করে তাঁকে নাম লেখাতে হবে। অ্যাপে দেখা যাবে, কোন কোন সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে করোনার টিকা দেওয়া হচ্ছে এবং কোন কোন সময় ফাঁকা রয়েছে। সেই মতো অ্যাপয়েন্টমেন্ট বুক করে তাঁরা নির্দিষ্ট দিনে সংশ্লিষ্ট পরিচয়পত্রটি-সহ টিকাকরণ কেন্দ্রে গিয়ে টিকা নিয়ে আসতে পারেন। সরকারি টিকাকরণ কেন্দ্রে টাকা লাগবে না। নথিভুক্ত বেসরকারি হাসপাতালে পূর্বনির্ধারিত দাম দিয়ে টিকা নেওয়া যাবে।
দ্বিতীয়ত, উপভোক্তা যদি অনলাইনে আগে থেকে নাম লেখাতে না-পারেন, তা হলে তিনি নথিভুক্ত টিকাকরণ কেন্দ্রে চলে যেতে পারেন। সেখানে গিয়ে নাম লিখিয়ে টিকা নিতে পারেন। সচিত্র পরিচয়পত্র তো লাগবেই। পাশাপাশি ৪৫ থেকে ৫৯ বছর বয়সি যদি কেউ টিকা নিতে চান, তাঁকে কো-মর্বিডিটির কারণ-সহ চিকিৎসকের শংসাপত্র আনতে হবে। তৃতীয় পদ্ধতিটি একেবারেই সংশ্লিষ্ট রাজ্যের উদ্যোগ। সেখানে উপভোক্তাদের চিহ্নিত করে নির্দিষ্ট দিনে তাঁদের টিকাকরণ কেন্দ্রে আনতে হবে। এই কাজে আশা ও এএনএম কর্মী, মহিলা স্বনির্ভর গোষ্ঠী বা পঞ্চায়েতের প্রতিনিধিদের কাজে লাগানো যেতে পারে।
কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক জানিয়েছে, নির্ধারিত বয়সের নাগরিকদের পাশাপাশি যে স্বাস্থ্যকর্মী বা ফ্রন্টলাইন ওয়ার্কাররা এত দিনেও টিকা নিতে পারেননি, তাঁরা এই পর্যায়ে টিকা নিতে পারবেন। টিকা নেওয়ার পরে উপভোক্তাদের তথ্য আপলোড করা হবে কো-উইন পোর্টালে। প্রথম ও দ্বিতীয় ডোজ়ের টিকা নেওয়ার পরে কিউআর কোড-ভিত্তিক শংসাপত্র পাবেন টিকা-প্রাপকেরা। টিকাকরণ কেন্দ্র থেকেই তার প্রিন্টআউট পাওয়া যাবে। এ ছাড়া টিকাকরণের জন্য আসা এসএমএসের লিঙ্ক থেকেও সেটি মোবাইলে ডাউনলোড করা যাবে।
আজ পর্যন্ত ১.৩০ কোটি দেশবাসী কোভিডের টিকা পেয়েছেন। তবে আগামিকাল ও পরশু, অর্থাৎ শনি ও রবিবার টিকাকরণ বন্ধ থাকবে। কারণ, কো-উইন প্ল্যাটফর্মটি আপগ্রেড করা হচ্ছে। ‘কো-উইন ১.০’ থেকে সেটি হচ্ছে ‘কো-উইন ২.০’। টিকাকরণ সংক্রান্ত বিশেষ ক্ষমতাসম্পন্ন গোষ্ঠীর চেয়ারম্যান আর এস শর্মা জানান, কো-উইনের নতুন ভার্সনটি জিপিএসের সাহায্যে কাজ করতে সক্ষম। এটিতে পছন্দসই টিকাকরণ কেন্দ্র বাছাই এবং অন্য রাজ্যে গিয়ে টিকা নেওয়ার ‘অপশন’ থাকবে। কো-উইন আপগ্রেড হওয়ার পরে ১ মার্চ থেকে আবার উপভোক্তারা নাম নথিভুক্ত করতে পারবেন। যাঁরা প্রযুক্তিগত ভাবে সড়গড় নন, তাঁদের সাহায্যের জন্য টিকাকরণ কেন্দ্রে স্বেচ্ছাসেবকেরা থাকবেন।
এ দিকে, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক আজ জানিয়েছে, গত ২৭ জানুয়ারি তারা যে কোভিড আচরণবিধি প্রকাশ করেছিল, তার মেয়াদ ৩১ মার্চ পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে। করোনা সামলাতে নজরদারি, সতর্কতা ও কন্টেনমেন্টের উপরে ফের জোর দিয়েছে কেন্দ্র। বলা হয়েছে, সামাজিক অনুষ্ঠান আয়োজন করতে হবে সংশ্লিষ্ট রাজ্যের আচরণবিধি মেনে। সিনেমা হল ও থিয়েটারের দর্শক সংখ্যা আরও বাড়ানো নিয়ে শীঘ্রই নির্দেশিকা প্রকাশ হবে। সুইমিং পুল খুলে দেওয়া হয়েছে সর্বসাধারণের জন্য। ডিজিসিএ আজ জানিয়েছে, তাদের অনুমোদিত যাত্রী-উড়ান ও পণ্যবাহী উড়ান বাদে অন্যান্য আন্তর্জাতিক উড়ানের উপরে নিষেধাজ্ঞা আগামী ৩১ মার্চ পর্যন্ত জারি থাকবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy