অলোক বর্মা। —ফাইল চিত্র
প্রাক্তন সিবিআই ডিরেক্টর অলোক বর্মার বিরুদ্ধে কিছু অভিযোগের ভিত্তি নেই, তবে কোনও কোনও অভিযোগের ভিত্তি রয়েছে। সেন্ট্রাল ভিজিল্যান্স কমিশনের (সিভিসি) তদন্ত রিপোর্টের ভিত্তিতে এই পর্যবেক্ষণ দেশের শীর্ষ আদালতের। তদন্ত রিপোর্টও পরিস্কার নয়, কিছু ধোঁয়াশা রয়েছে। অলোক বর্মার বিরুদ্ধে আরও তদন্ত প্রয়োজন, মত প্রধান বিচারপতির বেঞ্চের।
শুক্রবার শুনানির পর সিভিসি-কে প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈ-এর বেঞ্চের নির্দেশ, তদন্ত রিপোর্টের কপি সিল করা খামে বর্মাকে দিতে হবে। সেই রিপোর্ট দেখে বর্মাকে ১৯ নভেম্বরের মধ্যে তাঁর নিজের মতামত জানাতে হবে। অর্থাৎ, তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগগুলি খণ্ডন করতে সওয়ালের সুযোগ পাবেন তিনি।
তদন্ত রিপোর্টের একটি কপি অ্যাটর্নি জেনারেল কে কে বেণুগোপালকেও দেওয়ার নির্দেশও দিয়েছে তিন সদস্যের বেঞ্চ। এদিনের শুনানিতে আদালতের মন্তব্য, সিবিআই-এর মতো সংস্থার ‘‘পবিত্রতা এবং জনগণের আস্থা রক্ষা করার জন্যই সিল করা খামে রিপোর্ট জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হচ্ছে। মামলার পরবর্তী শুনানি ২০ নভেম্বর।
আরও পড়ুন: অন্ধ্রে ঢুকতে পারবে না সিবিআই, বিজ্ঞপ্তি জারি চন্দ্রবাবুর, সমর্থন মমতার
আরও পড়ুন: গজ তাণ্ডবে লণ্ডভণ্ড তামিলনাড়ুর উপকূল, মৃত অন্তত ১৫
প্রাক্তন সিবিআই ডিরেক্টর অলোক বর্মা এবং স্পেশাল ডিরেক্টর রাকেশ আস্থানার বিবাদ প্রকাশ্যে চলে আসার পর গত ২৩ নভেম্বর অলোক বর্মাকে ছুটিতে পাঠানোর নির্দেশ দেয় কেন্দ্র। সেই নির্দেশ চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে মামলা দায়ের করেন বর্মা। গত ২৬ নভেম্বর মামলার শুনানিতে সিভিসি-কে দু’সপ্তাহের মধ্যে তদন্ত রিপার্ট জমা দেওয়ার নির্দেশ দেয় প্রধান বিচারপতির বেঞ্চ। সোমবারই আদালতে প্রাথমিক রিপোর্ট জমা পড়ে।
(আজকের তারিখে গুরুত্বপূর্ণ কী কী ঘটেছিল অতীতে, তারই কয়েক ঝলক দেখতে ক্লিক করুন — ফিরে দেখা এই দিন।)
শুক্রবার সেই রিপোর্টের ভিত্তিতেই শুনানি হয় প্রধান বিচারপতির বেঞ্চে। এ দিন রাকেশ আস্থানাও সিভিসি-র তদন্ত রিপোর্টের একটি কপি চেয়েছিলেন। কিন্তু আদালত তাঁর আর্জি খারিজ করে দিয়েছে।
ভোটের খবর, জোটের খবর, নোটের খবর, লুটের খবর- দেশে যা ঘটছে তার সেরা বাছাই পেতে নজর রাখুন আমাদের দেশ বিভাগে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy