যোগী আদিত্যনাথ
রাস্তার একপাল কুকুর! তাদের ধরতে রীতিমতো ড্রোন আর বাইনোকুলার নিয়ে ময়দানে পুলিশ। গত এক সপ্তাহে উত্তরপ্রদেশের সীতাপুর জেলার খরিদাবাদ ও লাগোয়া এলাকায় রাস্তার কুকুরের কামড়ে মৃত্যু হয়েছে ৬টি শিশুর। তার আগের ছ’মাসে আরও ৬ শিশুর মৃত্যু হয়েছিল। আহত আরও কয়েক জন।
গোরক্ষপুরের হাসপাতালে শিশুমৃত্যুর ঘটনায় যোগী সরকার প্রবল চাপে পড়েছিল গত বছর। তার প্রভাব পড়েছে পরে নির্বাচনেও। এ বার কুকুরের কামড়ে ইতিমধ্যেই ১২টি শিশু মারা যাওয়ায় আবারও একটা জনরোষের আশঙ্কা করছে সরকার। মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ কড়া হাতে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের নির্দেশ দিয়েছেন।
কিন্তু কুকুরেরা হঠাৎ খেপে উঠল কেন? বরেলীর ইন্ডিয়ান ভেটেরিনারি রিসার্চ ইনস্টিটিউটের ডিরেক্টর আর কে সিংহ এ প্রশ্নের যা উত্তর দিয়েছেন, সেটা অবশ্য যোগীর জন্য সুখের নয়। সিংহের মতে, যোগীর ‘বেআইনি’ কসাইখানা হটাও অভিযানের সঙ্গে এর যোগ রয়েছে। আগে কসাইখানাগুলির উচ্ছিষ্ট খেয়েই বাঁচত এই কুকুররা। কিন্তু বহু কসাইখানা বন্ধ হয়ে যাওয়ার পরে ওদের খাদ্য সঙ্কট তৈরি হয়েছে। তাঁর মতে, সীতাপুরের এই কুকুরগুলিকে ‘নরখাদক’ বলা উচিত নয়। এটা আসলে প্রাথমিক ভাবে মানুষ আর পশুর সংঘাত। পশু চিকিৎসক অনুপ গৌতম যোগ করছেন, যাযাবর মানুষজন কুকুর পুষতেন শিকারের জন্য। এখন খাদ্যের অভাব হওয়ায় তাঁরা পোষা কুকুরদের ছেড়ে দিয়েছেন বলে বিপত্তি বেড়েছে।
আরও পড়ুন: পর্যটকের মৃত্যু, ক্ষুব্ধ উপত্যকা
গত শনিবার হিংস্র কুকুরের কামড়ে জখম হয়েছিল বছর দশেকের একটি শিশু। পরে মারা যায় সে। ওই দিনই আর এক জায়গায় আর একটি শিশু কুকুড়ের কামড়ে আহত হয়। আতঙ্কের জেরে রাস্তায় বেরনো প্রায় বন্ধ করে দিয়েছেন লোকজন। স্কুলে যাওয়া বন্ধ করে দিয়েছে খুদেরাও। অনেকে আবার রড বা কুড়ুল নিয়ে রাস্তায় বেরোচ্ছেন।
লখনউ এলাকার আইজি সুজিত কুমার পান্ডে জানান, কুকুর ধরতে ৮-১০ জনের কয়েকটি দল গড়া হবে। লখনউ ও মথুরা থেকেও বিশেষ দল যাবে। জেলাশাসক, বনকর্তারা এবং পুলিশের সমন্বয় করা হচ্ছে। গ্রামবাসীদেরও সাহায্য নেওয়া হচ্ছে। লখনউ থেকে পাঠানো হয়েছে ড্রোন। কুকুরকে চিহ্নিত করতে রাতে দেখা যাবে এমন বাইনোকুলারও গিয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy