ফের বিতর্কে সিধু। ফাইল চিত্র।
ফের পাকিস্তান নিয়ে মন্তব্য করে বিতর্কের দোরগোড়ায় সিধু। ইমরানের শপথগ্রহণ অনুষ্ঠান দিয়ে যা শুরু, তা অন্য মাত্রায় পৌঁছল শনিবার। একটি সাহিত্য উৎসবের অনুষ্ঠানে খোলামেলা বক্তব্য রাখতে গিয়ে সিধু বলে বসলেন, দক্ষিণ ভারত যাওয়ার থেকে পাকিস্তান যাওয়া তাঁর কাছে অনেক বেশি পছন্দের। ভাষা ও খাদ্যাভ্যাসের কারণেই পাকিস্তান তাঁর কাছে বেশি পছন্দের বলে সাফ জানালেন পঞ্জাবের কংগ্রেস সরকারের এই মন্ত্রী। একই সঙ্গে ইমরান খানের শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে পাক সেনাপ্রধান কামার জাভেদ বাজওয়াকে আলিঙ্গন করার মধ্যেও দোষের কিছু নেই বলে জানিয়েছেন এই প্রাক্তন ভারতীয় টেস্ট ওপেনার।
হিমাচলপ্রদেশের কসৌলিতে সাহিত্য উৎসবের অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়েই বিতর্কে ইন্ধন জোগান সিধু। তাঁর বক্তব্য, ‘‘দক্ষিণ ভারতে গেলে দু’-একটা শব্দ ছাড়া আমি কিছুই বুঝতে পারি না। ইডলির মতো খাবার এক-দু’দিন চালানো যেতে পারে। কিন্তু দিনের পর দিন দক্ষিণ ভারতীয় খাবার খাওয়া সম্ভব নয়। আর পাকিস্তানে গেলে পঞ্জাবির পাশাপাশি ইংরেজি বলা যায়। পাকিস্তানের সঙ্গে আমাদের মিল অনেক বেশি। ’’
আরও পড়ুন: গুয়াহাটির ব্যস্ত পানবাজারে বিস্ফোরণ, জখম অন্তত ৪
ইমরানের খানের শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে গিয়ে পাক সেনাপ্রধানকে আলিঙ্গন করে দেশ জুড়ে বিতর্কের মুখে পড়েছিলেন সিধু। পাক সেনার মদতে যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন করে যখন কাশ্মীরে একের পর হামলা চালানো হচ্ছে, নিহত হচ্ছেন জওয়ানেরা। তখন সিধুর এই সৌভ্রাতৃত্বের আলিঙ্গন ভাল চোখে নেননি দেশের অনেকেই। মূলত বিজেপি শিবির থেকেই সমালোচনার তির ছুটে গিয়েছিল সিধুর দিকে। সিধুকে অবশ্য টলানো যায়নি কোনও ভাবেই। পরে তিনি বলেন, পাক সেনাপ্রধান তাঁকে ভারতের শিখদের জন্য কর্তারপুর সীমান্ত খুলে দেওয়ার কথা জানিয়েছিলেন। পাকিস্তানের কর্তারপুর সাহিব গুরুদ্বার দেখতে পাবেন ভারতের শিখরা, এই আনন্দের আতিশয্যেই স্বতস্ফূর্তভাবে পাক সেনাপ্রধানকে আলিঙ্গন করে ফেলেছিলেন তিনি।
আরও পড়ুন: ভোটের মুখে ছত্তীসগঢ়ে বড় ধাক্কা, কংগ্রেসের শীর্ষ নেতা বিজেপিতে
একই সঙ্গে সিধু জানিয়েছেন, ‘‘সীমান্ত খুলে দিলে শুধু ‘ঝাপ্পি (আলিঙ্গন)’ নয়, প্রয়োজনে ‘পাপ্পি (চুম্বন)’-ও দেব পাক সেনাপ্রধানকে।’’
(দেশজোড়া ঘটনার বাছাই করা সেরা বাংলা খবর পেতে পড়ুন আমাদের দেশ বিভাগ।)
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy