ভাবা হয়েছিল, ওই তিন জন বিজেপির ‘পৌষ মাস’ আনবেন।
আপাতত, ওই তিন জনই বিজেপির সর্বনাশের কারণ!
ওই তিন জনই দলটাকে ডুবিয়ে দিলেন বিহারে।
তিন জন বলতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র দামোদরদাস মোদী ও বিজেপি সভাপতি অমিত শাহ আর কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলি।
এই কথাটা যিনি বললেন, তিনি পূর্বতন এনডিএ জমানার কেন্দ্রীয় মন্ত্রী, এখন ‘তৃতীয় পক্ষ’-অরুণ শৌরি।
দুঁদে সাংবাদিক শৌরির পূর্বাভাস, এ বার বিজেপির মধ্যেই একটা অংশ ‘নীরবে ওঁদের সঙ্গে অসহযোগিতা করে যাবে’। এর মানে, শৌরি বোঝাতে চেয়েছেন, ক্যারিশমা দিয়ে গোটা বিজেপি-কে তাঁদের পকেটে পুরে রাখার দিন ফুরিয়েছে মোদী, অমিত শাহ ও জেটলির। ‘বিদ্রোহ’ শুরু হল বলে!
পড়ুন এই সংক্রান্ত আরও খবর
মেরুকরণই বিজেপির ভরাডুবির কারণ, বলছেন বিশেষজ্ঞরা
বাজপেয়ী জমানার ডাকসাইটে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী, অধুনা দলছুট শৌরি তাঁর লেখার মতোই তীক্ষ্ণ বিশ্লেষণে বলেছেন, ‘‘দেড় বছর আগে মোদী যখন ক্ষমতায় এলেন, তখন তাঁর জনপ্রিয়তাকে ভাঙিয়ে মেরেকেটে ৩১ শতাংশ ভোট পেয়েছিল বিজেপি। আর এ বার মোদী, অমিত শাহ আর জেটলি- এই তিন জনে মিলে বিহারে বিরোধী মহাজোটের ঝুলিতে ৬৯ শতাংশ ভোট পড়তে যথেষ্টই সাহায্য করেছেন। ওঁরা বিহারে ধর্মীয় মেরুকরণের মাধ্যমে বিভাজনের রাজনীতি করেছিলেন। সেটাই তাঁদের বিশ্বাসযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে দিয়েছে। এর ওপর মানুষ এটাও ভোলেননি, ভুরি ভুরি প্রতিশ্রুতির একটাও রাখেননি মোদী।’’
শৌরি বোঝাতে চেয়েছেন, দেড় বছর আগে মোদীর ক্যারিশমা বিজেপির যতটা উপকার করেছিল, এ বার বিহারে মোদী-জেটলি-অমিত শাহ ‘ট্রায়ো’ তার তিন গুণেরও বেশি ক্ষতি করেছে কেন্দ্রে ক্ষমতাসীন দলটির।
প্রাক্তন বিজেপি নেতা, আপাতত ‘তৃতীয় পক্ষ’ শৌরি স্পষ্টই বলেছেন, ‘‘ওই তিন জন ছাড়া কোনও চতুর্থ ব্যক্তি নেই এখন বিজেপি-তে। তবে বিহারে যেহেতু সব কিছুই ওলটপালট হয়ে গিয়েছে, তাই এ বার বিজেপি-তে এমন একটা গোষ্ঠী দ্রুত গড়ে উঠবে, যাঁরা নীরবে ওই তিন জনের সঙ্গে অসহযোগিতা করে চলবেন।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy