ছবি: পিটিআই।
বন্ধুদের মতে তিনি ছিলেন অত্যন্ত পজিটিভ এবং ভাল পড়ুয়া। ভাইয়ের কাছে ছিলেন সেরা বন্ধু এবং পৃথিবীর সেরা সুন্দরী। জটিল পারিবারিক জীবনের মাঝে এমনই জীবন ছিল শিনা বরার। তবে বছর বাইশের এই হাসিখুশি জীবনেও যে এত জটিলতা থাকতে পারে, তা আঁচ করতে পারেননি তাঁর খুব কাছের বন্ধুরাও।
শিনার জীবনে সম্পর্কগুলিও ছিল বেশ জটিল। তাঁর এক বন্ধুর কথায়, “অত্যন্ত জটিল ছিল শিনার দৈনন্দিন জীবন। চাকরি থেকে পরিবার, সব ক্ষেত্রেই বেশ চাপে ছিল ছোটবেলার হাসিখুশি শিনা।”
জ্ঞান হওয়ার পর থেকে কখনওই মা-বাবকে পাননি শিনা এবং তাঁর ভাই মিখাইল। বড় হয়েছেন গুয়াহাটিতে দাদু-দিদার কাছেই। যে দাদু-দিদাকে নকল বাবা-মা বানানোর জন্য চাপ দিয়েছিলেন খোদ ইন্দ্রাণী। দিদিকে ‘নিজের সবচেয়ে কাছের বন্ধু’ বলে ব্যাখ্যা করে মিখাইল জানিয়েছিলেন, খুব ভাল মনের মানুষ ছিলেন শিনা। শিনার বন্ধুদের কাছে থেকেও মিলেছে প্রায় একই বয়ান। তাঁর স্কুলের বন্ধুদের মতে, শিনা ছিলেন কখনও ক্লাস কামাই না করা ভাল মনের একটি মেয়ে। দিদি বলিউডি গানের অন্ধ ভক্ত ছিলেন বলে জানিয়েছেন মিখাইল। বন্ধুদের মধ্যেও তিনি ছিলেন বেশ জনপ্রিয়। শিনাকে ইন্দ্রাণী বেশ কিছু দিন রিহ্যাবিলিটেশন সেন্টারে রেখেছিলেন বলে দাবি করেছিলেন মিখাইল। যা মেনে নিয়েছেন শিনার বন্ধুরাও। গত কাল শিনার এক বান্ধবীও দাবি করেন, শিনা তাঁকে ফোন করে বলেছিলেন, তাঁকে রিহ্যাবিলিটেশন সেন্টারে আটকে রাখার ব্যবস্থা করেছেন ইন্দ্রাণী। সেখানে তাঁর উপরে অত্যাচার হচ্ছে বলেও জানিয়েছিলেন। এই বান্ধবী এখন দেহরাদূনে। ঘটনাচক্রে সেখানেই থাকেন পিটারের প্রথম পক্ষের স্ত্রী শবনম ও ছেলে রাহুল।
স্কুল শেষ করে মা ইন্দ্রাণীর কাছে চলে যান শিনা। ভর্তি হন মুম্বইয়ের এক বিখ্যাত কলেজে। সেখানে তাঁর এক সহপাঠীও বলেন, প্রেমিকের উল্লেখ করলেও তার সম্বন্ধে বেশি কিছু বলতে চাইতেন না তিনি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy