গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ।
লাদাখে সিয়াচেন হিমবাহের পূর্বপ্রান্তের শাক্সগাম উপত্যকায় চিনা পিপল্স লিবারেশন আর্মি (পিএলএ)-র সড়ক এবং সুড়ঙ্গ নির্মাণের খবর প্রকাশ্যে এসেছিল সপ্তাহ খানেক আগেই। মিলেছিল বিদেশি কয়েকটি সংস্থার তোলা উপগ্রহচিত্রও। লোকসভা ভোটের আবহে ভারতীয় ভূখণ্ডে চিনা অনুপ্রবেশ নিয়ে নতুন করে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছিল। এই পরিস্থিতিতে বৃহস্পতিবার বিদেশ মন্ত্রকের তরফে বিবৃতিতে বলা হল, ‘‘শাক্সগাম উপত্যকা ভারতের অংশ।’’
পাক অধিকৃত ভারতীয় ভূখণ্ডে শাক্সগাম এলাকায় (সামরিক পরিভাষায় ট্রান্স কারাকোরাম ট্র্যাক্ট) সড়ক এবং সুড়ঙ্গপথ নির্মাণের চিনা কর্মকাণ্ড নিয়ে এপ্রিলের শেষ সপ্তাহে প্রকাশিত হয়েছিল নতুন উপগ্রহচিত্র। তাতে দেখা গিয়েছে, সেখানে স্থায়ী নির্মাণ চালাচ্ছে চিনা ফৌজ। তৈরি হচ্ছে সড়ক এবং সুড়ঙ্গপথ! ১৯৪৮ সালেই অবিভক্ত জম্মু ও কাশ্মীরের ওই এলাকা দখল করেছিল পাক সেনা। ষাটের দশকে সিয়াচেন হিমবাহের পূর্বপ্রান্তের শাক্সগাম এলাকা বেজিংয়ের হাতে তুলে দিয়েছিল ইসলামাবাদ।
গত কয়েক বছর ধরে পূর্ব লাদাখ, উত্তরাখণ্ড, সিকিম এবং অরুণাচল প্রদেশের প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখায় (এলএসি) এমনকি, ভারতীয় ভূখণ্ডের অন্দরে নির্মাণের কাজ চালানো, গ্রাম বানানোর অভিযোগ উঠেছে চিনা ফৌজের বিরুদ্ধে। এ বার তার নজির পশ্চিম লাদাখের সিয়াচেন হিমবাহ এলাকায় মেলায় তৈরি হয় বিতর্ক।
বছর কয়েক আগে প্যাংগং হ্রদের উত্তর এবং দক্ষিণ তীর জুড়ে চিনা ফৌজের সেতু নির্মাণের ‘তৎপরতা’ দেখা গিয়েছিল উপগ্রহচিত্রে। এর পরে ম্যাক্সার প্রকাশিত উপগ্রহচিত্র দেখিয়েছিল, এলএলসি লাগোয়া আকসাই চিন এলাকায় চিন সেনা স্থায়ী বাঙ্কার এবং বড় সুড়ঙ্গ তৈরি করছে। ভবিষ্যতে সংঘাতের পরিস্থিতির মোকাবিলার লক্ষ্যে শি জিনপিংয়ের সেনার এই পদক্ষেপ বলে ধারণা ভারতের। পশ্চিম চিনের শিনজিয়াং প্রদেশের কাশগড় থেকে দক্ষিণ পাকিস্তানের গ্বদর বন্দর পর্যস্ত বিস্তৃত কারাকোরাম হাইওয়ে (যার পোশাকি নাম— চিন-পাকিস্তান অর্থনৈতিক করিডর বা সিপিইসি) গিয়েছে শাক্সগাম উপত্যকার অদূর থেকেই। ১৩০০ কিলোমিটার দীর্ঘ এই ‘বাই লেন’ মহাসড়ক চিনের ‘ওয়ান বেল্ট ওয়ান রোড’ কর্মসূচির অন্যতম প্রধান অঙ্গ।
প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞদের একাংশ মনে করছেন, যুদ্ধ পরিস্থিতিতে দ্রুত সেনা এবং সামরিক সরঞ্জাম পরিবহণের উদ্দেশ্যেই শাক্সগাম থেকে সিপিইসি সংযোগকারী রাস্তা বানাচ্ছে চিনা ফৌজ। যা ভারতের পক্ষে উদ্বেগজনক। পাশাপাশি নির্মীয়মাণ সুড়ঙ্গগুলিতে সম্ভাব্য যুদ্ধ পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে সেনার পাশাপাশি ভারী অস্ত্রশস্ত্র এবং বিপুল পরিমাণ রসদ মজুত রাখার ব্যবস্থা রাখা হচ্ছে বলেও তাঁদের অনুমান।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy