মুম্বইয়ে হামলার আগে দিল্লির ন্যাশনাল ডিফেন্স কলেজে হামলার ছক ছিল ডেভিড হেডলি, তাহাউর রানাদের। সূত্রের খবর, মুম্বই হামলার চক্রী রানাকে জেরা করে এমনই তথ্য পেয়েছেন তদন্তকারীরা। শুধু তা-ই নয়, দিল্লির ন্যাশনাল ডিফেন্স কলেজে হামলার ‘ষড়যন্ত্র’ করেছিলেন পাকিস্তান সেনার দুই মেজর আবদুল রহমান পাশা এবং ইকবাল।
সূত্রের দাবি, এই হামলার মূল লক্ষ্য ছিল এক ছাদের নীচে ভারতীয় সেনার বেশ কয়েক জন ব্রিগেডিয়ার এবং জেনারেলকে হত্যা করা। মেজর ইকবাল ডেভিড হেডলিকে ২৫ হাজার মার্কিন ডলারও দিয়েছিলেন। লক্ষ্য ছিল, মুম্বইয়ের তাজ হোটেল-সহ ভারতের বেশ কিছু জায়গায় গুপ্তচরবৃত্তি করা। সেই তালিকায় বেশ কয়েকটি গবেষণা সংস্থাও ছিল। আর গোটা পরিকল্পনার কথা জানতেন রানা।
আরও পড়ুন:
-
কোন পথে, কী ভাবে মুম্বইয়ে হামলা, ২৬/১১ নিয়ে হেডলির ছক শুনে হেসেছিলেন রানা! আর কী তথ্য পেল এনআইএ
-
পাতাল থেকেও দোষীদের বার করার হুঁশিয়ারি, ওয়াকফ-আঁচে উত্তপ্ত মুর্শিদাবাদের পরিস্থিতি স্বাভাবিক হচ্ছে, সজাগ প্রশাসন
-
রানার পর চোকসীকেও ফেরত পাওয়ার আশা! তবে বিজয় মাল্য, নীরব মোদী, ললিত মোদীরা এখনও নাগালের বাইরে
সূত্রের খবর, ২০০৬ সালের সেপ্টেম্বরে মুম্বই আসেন হেডলি। পাকিস্তানি মেজর জেনারেল ইকবাল তাঁকে ভারতের বেশ কয়েকটি জায়গার মানচিত্র এবং নকশা দেন। সেই তালিকায় দিল্লির ডিফেন্স ন্যাশনাল কলেজও ছিল বলে জানতে পেরেছেন তদন্তকারীরা। সূত্রের খবর, ভারতের কোথায় হামলা চালানো হবে তার চূড়ান্ত নকশা (ব্লুপ্রিন্ট) যেখানে তৈরি হয়েছিল, সেই বৈঠকে ছিলেন পাক সেনার দুই মেজর, লশকর এবং জইশ জঙ্গিগোষ্ঠীর শীর্ষ নেতৃত্বও ছিলেন। এনআইএ সূত্রে খবর, রানাকে জেরা করে এই তথ্যের পোক্ত প্রমাণ জোগাড় করার চেষ্টা হচ্ছে।
২০০৮ সালের ২৬ নভেম্বর মুম্বইয়ে হামলার অন্যতম চক্রী রানা। গত বৃহস্পতিবার তাঁকে ভারতের হাতে তুলে দেয় আমেরিকা। বিশেষ বিমানে দিল্লিতে নিয়ে আসা হয় তাঁকে। ভারতে ফিরিয়ে এনে তাঁকে গ্রেফতার করে এনআইএ। তাঁকে ১৮ দিনের এনআইএ হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে আদালত। বর্তমানে রানাকে এনআইএ-র সদর দফতরের গারদে রেখে জেরা করা হচ্ছে। শুক্রবার থেকে জেরায় বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ এবং চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে এসেছে।