—প্রতীকী চিত্র।
স্বাধীনতা দিবসে কলেজ ছুটি। তাই ফরিদাবাদের আসোলা অভয়ারণ্যে ঘুরতে গিয়েছিলেন এক বান্ধবী-সহ সাত বন্ধু। ওঁরা সকলেই জেএনইউয়ের সেন্ট স্টিফেন’স কলেজের পড়ুয়া। কিন্তু এমন তিক্ত অভিজ্ঞতা নিয়ে যে ফিরতে হবে তা হয়তো ভাবেননি ওঁরা কেউই।
ফেরার পথে এক দল দুষ্কৃতীর হাতে নিগৃহীত হতে হয় তাঁদের। অভিযোগ, সঙ্গের ওই ছাত্রীকে ধর্ষণেরও চেষ্টা করে দুষ্কৃতীরা। শুধু তাই নয়, ধর্মবিদ্বেষী নানা কথা বলে তাঁদের মারধর করে ওই দুষ্কৃতীরা। ভেঙে দেওয়া হয় তাঁদের মোবাইল ফোন। কোনও রকমে দুষ্কৃতীদের হাত থেকে পালিয়ে বাঁচেন ওই সাত পড়ুয়া।
হয়রানির এখানেই শেষ নয়। প্রাণ হাতে করে পালিয়ে এসে অভিযোগ দায়ের করার জন্য থানায় যান ওই পড়ুয়ারা। তাঁদের অভিযোগ, স্থানীয় সূর্যখণ্ড থানার পুলিশ অভিযোগ নিতে অস্বীকার করে। অভিযোগ, সেখানকার এক পুলিশকর্মী তাঁদের বলেন, ‘এটা উদ্দাম যৌনতার দেশ নয়’। পরে অবশ্য লিখিত ভাবে ক্ষমা চেয়ে নেন তিনি। পরে বসন্ত কুঞ্জ(উত্তর) থানায় অভিযোগ দায়ের করেন পড়ুয়ারা।
আরও পড়ুন: দিল্লির পাঁচতারা হোটেলে শ্লীলতাহানি! অভিযোগ করে বরখাস্ত মহিলা
ফরিদাবাদের সেই অভয়ারণ্য
১৫ অগস্ট সকালে ফরিদাবাদের ওই অভয়ারণ্যে ঘুরতে গিয়েছিলেন তাঁরা। ছুটির দিনটা সেখানে আনন্দে কাটিয়ে রাত সাড়ে ৮টা নাগাদ ঘরে ফেরার পথ ধরেছিলেন ওই সাত জন। এক বন্ধুর বাইকে তিন জন প্রধান সড়কপথ ধরে। ঠিক ছিল, বাকি চার বন্ধু একটি ভাড়া গাড়িতে ফিরবেন। অভয়ারণ্যের বাইরেই পার্ক করা ছিল তাঁদের গাড়ি। এক ছাত্রী-সহ চার জন বনের ভিতর দিয়ে হাঁটতে হাঁটতে ফিরছিলেন। আক্রান্ত পড়ুয়ারা জানান, গাড়ির কাছে পৌঁছনোর আগেই তিন অপরিচিত ব্যক্তি তাঁদের পথ আটকায়। ওই মেয়েটির সঙ্গে বাকিদের কী সম্পর্ক রয়েছে, তা নিয়ে কুরুচিকর প্রশ্ন করতে শুরু করে।
আরও পড়ুন: স্বাধীনতা দিবসে গরহাজির, ৫৪ আমলাকে শো-কজ উত্তরাখণ্ড সরকারের
কেন তাঁরা এখানে এসেছেন, সে নিয়েও শুরু হয় কথা কাটাকাটি। কিছু ক্ষণের মধ্যেই দু’পক্ষের বচসা হাতাহাতির পর্যায়ে পৌঁছয়। পড়ুয়াদের মধ্যে এক জন ছিলেন সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের। তাঁকে ঘিরে শুরু হয় ধর্মবিদ্বেষী মন্তব্য। পড়ুয়াদের অভিযোগ, কিছু ক্ষণের মধ্যেই সংখ্যায় বাড়তে থাকে দুষ্কৃতীরা। লাঠিসোটা দিয়ে মারধর শুরু করে তারা। অভিযোগ, ধর্ষণের চেষ্টা করা হয় ওই ছাত্রীকে। অন্য পড়ুয়াদের মেরে মেয়েটিকে নিজেদের কাছে ‘রেখে’ দেওয়ার কথাও বলতে থাকে তারা।
আরও পড়ুন: সন্তানের জন্ম দিল সেই ১০ বছরের ধর্ষিতা
সংখ্যালঘু ওই পড়ুয়া জানান, দাড়ি থাকার ‘অপরাধে’ তাঁকে বেধড়ক মারধর করে দুষ্কৃতীরা। পরে স্থানীয়দের সাহায্যে কোনও মতে পালিয়ে আসেন পড়ুয়ারা। পুলিশের ডেপুটি কমিশনার আস্থা মোদী জানিয়েছেন, পড়ুয়াদের বক্তব্য আবার রেকর্ড করা হতে পারে। এমনকী তদন্তের স্বার্থে ঘটনাস্থলে নিয়ে গোটা ঘটনার পুনর্নির্মাণও করা হতে পারে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy