সীমা হায়দর। ছবি: সংগৃহীত।
তাঁকে ছবিতে অভিনয়ের সুযোগ দেওয়া হচ্ছে, এই খবর আগেই প্রকাশ্যে এসেছিল। এ বার প্রকাশ্যে এল কোন চরিত্রে অভিনয় করতে চলেছেন পাক বধূ সীমা হায়দর। বেশ কয়েকটি সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, সীমা নাকি ছবির অডিশনও দিয়েছেন। তাঁর অডিশন নেওয়ার জন্য খোদ দুই পরিচালক সীমার সঙ্গে এসে দেখা করেছেন।
নিউজ় ১৮-এ প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুযায়ী, জানি ফায়ারফক্স প্রোডাকশন হাউস-এর সদস্যরা উত্তরপ্রদেশের গ্রেটার নয়ডার রবুপুরায় সচিনদের বাড়িতে আসেন সীমার সঙ্গে দেখা করতে। দুই পরিচালক জয়ন্ত সিন্হা এবং ভরত সিংহ সীমার অডিশনও নেন। ওই প্রতিবেদন অনুযায়ী, ‘আ টেলর মার্ডার স্টোরি’ নামের ছবিতে অভিনয়ের জন্য অডিশন নেওয়া হয়েছে পাক বধূর। সেখানে তাঁকে ভারতের গুপ্তচর সংস্থা ‘র’-এর এজেন্টের ভূমিকায় নাকি দেখা যেতে পারে।
তবে এ প্রসঙ্গে সীমা নিজে কী জানিয়েছেন? সীমাকে অভিনয়ের প্রস্তাব দিলেও তিনি কিন্তু এখনই তাতে সম্মতি দেননি। ওই প্রতিবেদন অনুযায়ী, সীমা নাকি জানিয়েছেন, তিনি তখনই অভিনয় করবেন, যখন উত্তরপ্রদেশের সন্ত্রাসদমন শাখা (এটিএস) তাঁকে সমস্ত রকম অভিযোগে ‘ক্লিন চিট’ দেবে।
উত্তরপ্রদেশে পুলিশের নির্দেশে কার্যত ঘরবন্দি সচিন-সীমারা। তা ছাড়া, প্রতি দিন সংবাদমাধ্যমের ভিড়ে বাড়ি থেকে বেরোনোই মুশকিল হয়ে পড়েছে তাঁদের। দিন কয়েক আগে সংবাদমাধ্যমে এমনই দাবি করেছিলেন সচিন মীণার বাবা নেত্রপাল। তিনি দাবি করেছিলেন, আইনি প্রক্রিয়া চলার কারণে বাড়ি থেকে বেরোতে পারছেন না। তাঁরা দিন আনা দিন খাওয়া মানুষ। ঘরে বন্দি হয়ে থাকায় কাজ জোগাড় করতে পারছেন না। ফলে ঘরে খাবারেরও আকাল দেখা দিয়েছে। পরিস্থিতি এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে যে, সচিন এবং সীমাকে তাঁদের নিজের ভিটে ছেড়ে এলাকারই অন্য একটি বাড়িতে ঠাঁই নিতে হয়েছে। সচিনের বাবা প্রশাসনের কাছে আর্জি জানিয়েছিলেন যে, এই পরিস্থিতি থেকে দ্রুত মুক্তি চান তাঁরা। সরকার যেন কিছু না কিছু সমাধান দ্রুত বার করে।
নেত্রপালের সেই আর্জি সমাজমাধ্যমে ভাইরাল হওয়ায় তাঁদের সাহায্যের জন্য এগিয়ে আসেন অমিত জানি নামে মিরাটের এক ছবি প্রযোজক। তিনি সীমাকে ছবিতে অভিনয়ের প্রস্তাবও দেন। শুধু তাই-ই নয়, আর্থিক সহযোগিতা করার আশ্বাসও দিয়েছেন। অমিত জানি সচিনের বাড়িতে আসার পর থেকে জোর জল্পনা শুরু হয়, তা হলে কি সত্যিই অমিতের ছবিতে অভিনয় করছেন পাক বধূ? যদিও সীমা জানিয়েছেন, এখনই তিনি এ সব নিয়ে ভাবছেন না।
পাবজি খেলতে গিয়ে পাক বধূ সীমার সঙ্গে ২০১৯ সালে পরিচয় হয়েছিল গ্রেটার নয়ডার বাসিন্দা সচিনের। সেই থেকে পরিচয়, তার পর প্রেম। জুন মাসেই নেপাল হয়ে ভারতে অবৈধ ভাবে ঢোকেন সীমা। সঙ্গে নিয়ে এসেছেন তাঁর চার সন্তানকেও। সীমা গ্রেটার নয়ডায় পা রাখতেই অবৈধ ভাবে ভারতে ঢোকার অভিযোগে গত ৪ জুলাই তাঁকে গ্রেফতার করে পুলিশ। পরে তাঁকে জামিনও দেওয়া হয়। তার পর থেকেই সীমাকে নিয়ে চর্চা এবং আলোচনা এমনকি জল্পনার অন্ত নেই। পুলিশে এবং গোয়েন্দারা সীমার আসার কারণ অনুসন্ধান করছেন। সীমা পাকিস্তানের কোনও চর কি না, তা নিয়েও তদন্ত চলছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy