Advertisement
০৪ নভেম্বর ২০২৪
377

৩৭৭ নিয়ে যে বিশিষ্ট ব্যক্তিরা চ্যালেঞ্জ করেছেন শীর্ষ আদালতের রায়কে

সমকামিতা মিয়ে সুপ্রিম কোর্টের রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়েছিলেন যে সেলেব্রিটিরা।

সুপ্রিম কোর্ট

সুপ্রিম কোর্ট

সংবাদ সংস্থা
নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ১০ জুলাই ২০১৮ ২১:২৯
Share: Save:

সমকামিতা নিয়ে শুনানি শুরু হয়েছে শীর্ষ আদালতে। সুপ্রিম কোর্টের পাঁচ সদস্যের সাংবিধানিক বেঞ্চ মঙ্গলবার জানিয়েছে, পুরনো রায় কতটা সঠিক, তা বিবেচনা করে দেখা হবে। এই মামলার পরবর্তী শুনানি আগামী বুধবার। সমকামিতা কি অপরাধ, তা খতিয়ে দেখা হবে। ২০১৩ সালে শীর্ষ আদালত সমকামিতাকে অপরাধ হিসাবে গণ্য করেছিল। এই আইনের বিরুদ্ধেই আন্দোলন গড়ে ওঠে। ৩৭৭ ধারা বিলোপের জন্য গত এপ্রিল-মে মাস নাগাদ এলজিবিটি সম্প্রদায়ের একটি সংগঠনের আবেদন ছাড়াও আরও বেশ কিছু আর্জি জমা পড়েছিল সুপ্রিম কোর্টে।

আদালতের রায়কে যাঁরা চ্যালেঞ্জ জানান, তাঁদের মধ্যে ছিলেন পাঁচ জন বিশিষ্ট ব্যক্তি। এঁরা হলেন, সেলেব্রিটি শেফ রীতু ডালমিয়া, ভরতনাট্যম শিল্পী নভতেজ সিংহ জোহর, সাংবাদিক সুনীল মেহরা, ব্যবসায়ী আয়েষা কপূর, লেখক-ইতিহাসবিদ আমন নাথ। এখানে রইল পাঁচ জন আবেদনকারীর কথা, শীর্ষ আদালতের সিদ্ধান্তে প্রভাব পড়েছে যাঁদের জীবনে। প্রত্যেকেই দীর্ঘ লড়াইয়ের মাধ্যমে পায়ের মাটি শক্ত করেছেন। নিজ নিজ ক্ষেত্রে এঁরা প্রত্যেকেই উচ্চ প্রতিষ্ঠিত।

রীতু ডালমিয়া: ২৩ বছর বয়সে প্রথম বুঝতে পারেন, সমপ্রেমে বিশ্বাসী তিনি। ২০০৭ সালে ‘উওমেন শেফ অফ দ্য ইয়ার’ সম্মান পান রীতু। অসংখ্য ইতালীয় রান্নার বই লিখেছেন তিনি। রীতু দেশেবিদেশে বেশ কয়েকটি চেন রেস্তরাঁর মালিক। তাঁর লেখা বই ‘ইতালিয়ান খানা’ খাদ্যরসিক মহলে সমাদৃত।

রীতু ডালমিয়া (বাঁদিকে)। ছবি সৌজন্যে টুইটার।

নভতেজ সিংহ জোহর: ২০১৪ সালে সংগীত নাটক অ্যাকাডেমি সম্মানে ভূষিত হন এই ভরতনাট্যম শিল্পী ও যোগশিক্ষক। ৫৯ বছরের নভতেজ তাঁর সঙ্গীকে নিয়ে আদালতে চ্যালেঞ্জ জানান। ২৫ বছর তাঁরা একসঙ্গে কাটিয়েছেন। ২০১০ সালে মিশিগান বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াতেও গিয়েছিলেন তিনি। বর্তমানে অশোকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘পারফর্মিং আর্টস’ বিভাগের আমন্ত্রিত অধ্যাপক তিনি।

সুনীল মেহরা: ম্যাক্সিম পত্রিকার ভারতীয় সংস্করণের প্রাক্তন সম্পাদক সুনীল। ডিডি মেট্রো ও ডিডি ইন্টারন্যাশনালে ‘সেন্টারস্টেজ’ শোয়ের ৮৬টি পর্বের পরিচালক, প্রযোজক, চিত্রনাট্যকার ও লেখক তিনি। তাঁর দীর্ঘদিনের সঙ্গীই নভতেজ।

সুনীল মেহরা ও নভতেজ সিংহ জোহর (বাঁদিকে)। ছবিটি সুনীলের ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে নেওয়া।

আমন নাথ: একাধারে ইতিাসবিদ, অন্যদিকে হোটেলিয়র। ইন্ডিয়ান ইন্টারন্যাশনাল ট্রাস্ট ফর আর্ট অ্যান্ড কালচারাল হেরিটেজ (আইএনটিএসিএইচ)। ২০১৪ সালে পর্যটন দফতরের তরফে আমন এবং তাঁর দীর্ঘ ২৩ বছরের সঙ্গী ফ্রান্সিস ওয়াকজিয়ার্গ লাইফটাইম অ্যাচিভমেন্ট সম্মানে ভূষিত করা হয়েছিল। ঐতিহাসিক নিদর্শন রয়েছে, এমন জায়গাগুলির সংরক্ষণ ছাড়াও ২৩ বছর ধরে সেইসব জায়গায় হোটেল ও রিসর্টের ব্যবসাও করছেন তিনি। শিল্পসংক্রান্ত ১৫টি বই রয়েছে তাঁর।

আমন নাথের টুইটার অ্যাকাউন্ট থেকে নেওয়া।

আয়েষা কপূর: বছর তেতাল্লিশের আয়েষা কপূর ফুড এবং বেভারেজ ইন্ডাস্ট্রির সঙ্গে যুক্ত। বিজনেস উওম্যান আয়েষা একটি সাক্ষাৎকারে জানান, আশির দশকের দিল্লিতে ‘লেসবিয়ান’ শব্দটিকে অশ্লীল বলে মনে করা হত। যদি কেউ জেনে যায়, তিনি লেসবিয়ান, শুধুমাত্র এই আতঙ্কে একটি ই-কমার্স সংস্থার বিজনেস হেডের পদ থেকে তিনি ইস্তফা দেন।

কেশব সূরির (ডান দিকে) ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে ছবিটি নেওয়া।

কেশব সূরি: ললিত সূরি হসপিট্যালিটি গোষ্ঠীর এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর কেশব। লন্ডনের কিংস কলেজের এই প্রাক্তনী তাঁর সঙ্গী সিরিলের কথা বরাবরই খোলা মনে স্বীকার করেন।

আরও খবর: এবার সঙ্ঘপ্রধান ভাগবতের সঙ্গে এক মঞ্চে রতন টাটাও​

নরম ব্রেক্সিট! পদত্যাগ এ বার বিরক্ত জনসনেরও

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE