গ্রাফিক। শৌভিক দেবনাথ।
মাসে তিন দিন ঋতুকালীন ছুটির দাবিতে পথে নামল উত্তরপ্রদেশের শিক্ষিকাদের নয়া সংগঠন। তাদের দাবি, রাজ্যের অধিকাংশ সরকারি স্কুলের শৌচাগারের হাল খুবই খারাপ। তাই ঋতুকালীন অসুবিধা এবং স্বাস্থ্যের নিরাপত্তার কথা ভেবে শিক্ষিকাদের সবেতন ছুটি দেওয়া প্রয়োজন।
মাত্র ছ’মাস আগে উত্তরপ্রদেশের সরকারি ও সরকারি সাহায্যপ্রাপ্ত স্কুলগুলির শিক্ষিকাদের নিয়ে ওই সংগঠন তৈরি হয়েছে। ইতিমধ্যেই যোগী-রাজ্যের ৭৫টি জেলার মধ্যে ৫০টিতে কয়েক হাজার শিক্ষিকা যোগ দিয়েছেন সংগঠনে। চলতি মাস থেকে ‘পিরিয়ড লিভ’-এর দাবিতে আন্দোলনে নেমেছেন তাঁরা। সে রাজ্যের শ্রমমন্ত্রী স্বামীপ্রসাদ মৌর্য-সহ সরকার ও বিরোধী শিবিরের জনপ্রতিনিধিদের সঙ্গেও দেখা করে নিজেদের দাবির কথা জানিয়েছেন।
শিক্ষিকা সংগঠনের সভানেত্রী সুলোচনা মৌর্য বলেন, ‘‘উত্তরপ্রদেশের অধিকাংশ স্কুলের শিক্ষিকাদের আলাদা শৌচাগার নেই। ছাত্রীদের শৌচাগারই ব্যবহার করতে হয়। ঋতুকালীন পরিস্থিতি মূত্রনালীর সংক্রমণের শিকার হন অনেকেরই।’’
প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পরে নরেন্দ্র মোদী ‘দেবালয়ের বদলে শৌচালয়’ গড়ে তোলার স্লোগান দিয়েছিলেন। একাধিক বার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও সরকারি-বেসরকারি সংস্থাগুলিকে এ বিষয়ে গুরুত্ব দেওয়ার কথাও বলেছেন তিনি। এই পরিস্থিতিতে বিজেপি শাসিত উত্তরপ্রদেশে কেন স্কুলগুলির শৌচালয়ের হতশ্রী দশা, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। ঘটনাচক্রে, মোদীর নির্বাচনকেন্দ্র বারাণসীও ওই রাজ্যেই। প্রসঙ্গত, ভারতে প্রথম ১৯১২ সালে স্কুল শিক্ষিকাদের ঋতুকালীন ছুটি দেওয়ার প্রথা শুরু হয়েছিল কেরলের এর্নাকুলম জেলার একটি স্কুলে। দক্ষিণ ভারতের একাধিক স্কুলেই রয়েছে এই ব্যবস্থা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy