একই এপিক নম্বরে একাধিক ভোটার কার্ড-এর বিষয়টি নিয়ে সংসদে যে কোনও ধারায় আলোচনা চেয়েছিল তৃণমূল-সহ বিরোধী দলেরা। কিন্তু সপ্তাহের গোড়ায় স্পষ্ট, আগামী পাঁচ দিনে বিষয়টি নিয়ে আলোচনার জন্য উদ্যোগী হবে না কেন্দ্র।
সূত্রের খবর, এই সপ্তাহে বিভিন্ন মন্ত্রকের ব্যয় বরাদ্দ নিয়ে আলোচনা আগে শেষ করবে কেন্দ্র। এর পর সামনের সপ্তাহে এপিক নিয়ে সিদ্ধান্ত হবে। প্রসঙ্গত আগামিকাল জাতীয় নির্বাচন কমিশন তৃণমূলের অভিযোগের ভিত্তিতে বৈঠকে বসছে। বৈঠকে থাকবেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রসচিব, আধার কমিশনের সিইও, সংসদ বিষয়ক মন্ত্রকের সচিব এবং কেন্দ্রীয় আইনসচিব। সূত্রের খবর, এর পর গোটা বিষয়টি রাজ্যের নির্বাচন কমিশনের ঘাড়ে ঠেলে দিতে পারে জাতীয় নির্বাচন কমিশন।
তবে আজ আলোচনা না-করা এবং এই নিয়ে রাজ্যসভার প্রধান বিরোধী দলনেতাকে বলতে না দেওয়ার প্রতিবাদে রাজ্যসভায় সমস্ত বিরোধী দলের সাংসদরা কিছু ক্ষণের জন্য কক্ষত্যাগ করেন।বাইরে তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “ধারাবাহিক ভাবে বিরোধীরা এপিক কার্ডের বিষয়টি নিয়ে আলোচনারদাবি তুলছে। কিন্তু কেন্দ্র অনড়। আমাদের প্রশ্ন হল অসংখ্য এপিক কার্ড থাকলে কী ভাবে সুষ্ঠু এবং অবাধ নির্বাচন হবে? নির্বাচনের আগে এই বিষয়ে স্বচ্ছতা আনা কমিশনেরদায়িত্ব। আজ প্রধান বিরোধী দলনেতাকে বলতে দেওয়ার জন্য আমরা আবেদন করেছিলেন। কিন্তু আমাদের কথা শোনা হয়নি। তাই প্রতিবাদে সব বিরোধী দলকক্ষত্যাগ করেছে।”
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)