সরকারি টাকা নয়ছয়ের অভিযোগে ওড়িশা পুলিশের প্রাক্তন ডিজি প্রকাশ মিশ্রের বিরুদ্ধে মামলা রুজু করল রাজ্যের ভিজিল্যান্স দফতর।
রঞ্জিত সিনহার পর সিবিআই নির্দেশক হওয়ার দৌড়ে প্রথম সারিতে রয়েছেন ১৯৭৭ সালের ব্যাচের ওই আইপিএস অফিসার। এর পিছনে তাই অন্য গন্ধ পাচ্ছে ওড়িশা পুলিশ। অভিযোগ উড়িয়ে মিশ্রও বলছেন, এতে চক্রান্ত রয়েছে। বর্তমানে তিনি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা বিভাগে বিশেষ সচিব পদে রয়েছেন।
ভিজিল্যান্স দফতরের শীর্ষকর্তা কে বি সিংহ আজ জানান, বিশেষ অডিটে ওই অনিয়ম ধরা পড়ে। ২০০৬ থেকে ২০০৯-এর মধ্যে সরকারি টাকা নয়ছয় হয়েছে। সে সময় ‘রাজ্য পুলিশ আবাসন ও উন্নয়ন নিগম’-এর চেয়ারম্যান ছিলেন মিশ্র। অভিযোগ, ক্ষমতার অপব্যবহার করে সিমেন্ট ও লোহার কাঠামো কিনতে কিছু সংস্থাকে ৫৯ কোটি টাকার বরাত দেন প্রাক্তন ডিজি। পুরো টাকাই অগ্রিম দেওয়া হয়। কিন্তু এখনও প্রায় ৫ কোটি টাকার জিনিস সরবরাহ করা হয়নি। ভিজিল্যান্সের বক্তব্য, এক মাত্র নিগমের ডেপুটি প্রোজেক্ট ম্যানেজারেরই ওই ধরনের বরাত কাউকে দেওয়ার অধিকার আছে।
অভিযোগ অস্বীকার করে পরোক্ষে ওড়িশা সরকারের দিকে আঙুল তুলছেন মিশ্র। রাজ্যের প্রাক্তন ডিজির বক্তব্য, “ভাবতেও পারছি না, এক জন অফিসারকে সিবিআই নির্দেশক হতে বাধা দেওয়ার জন্য রাজ্য সরকার এত নীচে নামতে পারে।”
তাঁর কথায়, “২০০৬ থেকে ২০০৯ পর্যন্ত আমি চেয়ারম্যান থাকাকালীন দুর্নীতির অভিযোগ উঠছে। তা হলে ২০১২ সালে কেন ডিজি করা হল আমায়?” পুলিশের একাংশের বক্তব্য, ডিজি থাকাকালীন শাসক দলের কথা শোনেননি মিশ্র। তা-ই তাঁর বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করা হয়েছে। ২০১২ সালের জুলাই মাসে ডিজির দায়িত্ব পাওয়ার পর তিনি ওড়িশায় কড়া হাতে মাওবাদী দমন করেছিলেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy