গর্ভস্থ ভ্রূণের বয়স পেরিয়ে গিয়েছে ৩১ সপ্তাহ। গর্ভপাতের আর্জি নিয়ে দেশের সর্বোচ্চ আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন বছর তেরোর মেয়েটির অভিভাবকেরা। সেই রায় বুধবার মঞ্জুর করেছে সুপ্রিম কোর্ট। আদালতের নির্দেশে আগামী ৮ সেপ্টেম্বর মুম্বইয়ের জেজে হাসপাতালে ওই কিশোরীর গর্ভপাত করানো হবে।
আরও পড়ুন: বিহারের ছাত্র খুনে রকি যাদব-সহ দু’জনের যাবজ্জীবন
রায় দিতে গিয়ে এ দিন প্রধান বিচারপতি দীপক মিশ্র প্রশ্ন তুলেছেন, ‘‘কী ভাবে এক জন ১৩ বছরের কিশোরী মা হতে পারে?’’ কিশোরীর অভিভাবকেরা আদালতের দ্বারস্থ হওয়ার পরেই বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের নিয়ে একটি মেডিক্যাল বোর্ড গঠন করা হয়েছিল। ওই বোর্ডের রিপোর্ট অনুযায়ী, এই অবস্থায় সন্তানের জন্ম দিলে সন্তান এবং মা দু’জনেরই জীবনের ঝুঁকি থাকবে। তাই কিশোরীর শারীরিক অবস্থা ও ভ্রূণের অবস্থার কথা বিবেচনা করে আদালতকে রিপোর্ট পাঠানো হয়।
আরও পড়ুন: গো-রক্ষকদের তাণ্ডব বন্ধে কড়া নির্দেশ সুপ্রিম কোর্টের
অভিভাবকরা জানান, কিশোরীর পেট ফুলতে দেখে তাকে স্থানীয় এক চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যান তাঁরা। ওই চিকিৎসকের নির্দেশে আলট্রা সোনোগ্রাফি করার পরেই বিষয়টা সামনে আসে। কিশোরীর বাবা ব্যবসার এক অংশীদারের ধর্ষণের শিকার হয় সে। অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
গর্ভপাত সংক্রান্ত (মেডিক্যাল টার্মিনেশন অব প্রেগন্যান্সি বা এমটিপি) আইন অনুযায়ী, ভ্রূণের বয়স ২০ সপ্তাহ পেরিয়ে গেলে গর্ভপাত নিষিদ্ধ। আইনজীবী স্নেহা মুখোপাধ্যায় আদালতে জানান, কিশোরী মানসিকভাবে ভেঙ্গে পড়েছে। এই অবস্থায় গর্ভপাত না করলে তার প্রাণহানি হতে পারে। তাই কিশোরীর গর্ভপাতের আর্জি মেনে নিতে বলেন ওই আইনজীবী। আদালতের নির্দেশ মেনে বৃহস্পতিবার কিশোরীকে হাসপাতালে ভর্তি করা হবে। আর শুক্রবার তার গর্ভপাত করা হবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy