সত্যপাল মালিক
জম্মু-কাশ্মীরের রাজ্যপাল পদে প্রবীণ রাজনীতিক সত্যপাল মালিককে নিয়োগ করল নরেন্দ্র মোদী সরকার। সত্যপাল এত দিন বিহারের রাজ্যপাল পদে ছিলেন। আর সত্যপালের স্থানে বিহারের দায়িত্বে এলেন প্রয়াত অটলবিহারী বাজপেয়ীর ঘনিষ্ঠ লালজি টন্ডন। আজ একইসঙ্গে সরানো হয়েছে ত্রিপুরার রাজ্যপাল তথাগত রায়কেও। তিনি পেলেন মেঘালয়ের দায়িত্ব। মোট সাতটি রাজ্যে রাজ্যপাল পদে পরিবর্তন করা হয়েছে।
জম্মু-কাশ্মীরের রাজ্যপাল পদে পরিবর্তন নিয়ে জল্পনা চলছিল অনেক দিন ধরেই। প্রায় এক দশক ধরে ওই পদে ছিলেন এন এন ভোরা। এ বারের অমরনাথ যাত্রা শেষ না হওয়া পর্যন্ত তাঁকেই কাজ চালিয়ে যেতে অনুরোধ করেছিল নরেন্দ্র মোদী সরকার। তবে পিডিপি ও বিজেপির জোট ভাঙার পরে রাজ্যে বিকল্প সরকার গড়ার উদ্যোগ নিয়ে রাজ্যপাল ভোরার সঙ্গে সরকারের মতবিরোধ হয়েছিল বলেও দাবি আমলাদের একাংশের।
এই পরিস্থিতিতে জম্মু-কাশ্মীরের রাজভবনের জন্য প্রাক্তন স্বরাষ্ট্রসচিব রাজীব মেহর্ষি-সহ বেশ কয়েক জন প্রাক্তন আমলা ও সেনাকর্তার নাম নিয়ে জল্পনা চলছিল দিল্লিতে। তাঁদের মধ্যে তালিকায় সবচেয়ে উপরে ছিলেন রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী বসুন্ধরা রাজের ঘনিষ্ঠ আমলা মেহর্ষি। পরে তিনি কেন্দ্রীয় অর্থসচিবও হন। হয়ে ওঠেন অরুণ জেটলির কাছের লোক। সূত্রের খবর, সে কারণেই সম্ভবত শেষ পর্যন্ত শিকে ছিঁড়ল না মেহর্ষির। পরিবর্তে সমাজবাদী ভাবধারা থেকে বিজেপিতে যোগ দেওয়া সত্যপালের উপরেই ভরসা রাখার সিদ্ধান্ত নিল বিজেপি। সত্যপালের জায়গায় বিহারে গেলেন বাজপেয়ী ঘনিষ্ঠ লালজি টন্ডন। বাজপেয়ী রাজনৈতিক অবসর নেওয়ার পরে ২০০৯ সালের লোকসভায় প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীর আসন লখনউ থেকে জিতে সংসদে এসেছিলেন লালজি। যদিও ২০১৪ সালের পর থেকে বয়সের কারণে সংসদীয় রাজনীতি থেকে সরে এসেছিলেন তিনি।
এ দিকে ত্রিপুরার রাজ্যপাল তথাগত রায়কে সরানো নিয়েও শুরু হয়েছে জল্পনা। বিজেপি সূত্রের খবর, ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী ও রাজ্যপালের মধ্যে তালমিলের অভাবের কারণেই সম্ভবত তথাগতকে মেঘালয়ে সরানো হয়েছে। পরিবর্তে দায়িত্ব পেয়েছেন কাপ্তান সিংহ সোলাঙ্কি। সঙ্ঘ ঘনিষ্ঠ মধ্যপ্রদেশের ওই বর্ষীয়ান বিজেপি নেতা এর আগে হরিয়ানার রাজ্যপাল পদে ছিলেন। হরিয়ানার রাজ্যপাল হয়েছেন সত্যদেব নারায়ণ আর্য।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy