দীর্ঘ তিন দশকের বেশি সময় ধরে রাজ্যের সবচেয়ে প্রভাবশালী ছাত্র সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত থাকার পর অবসর নিতে চলেছেন আসুর উপদেষ্টা সমুজ্জ্বল ভট্টাচার্য। একই সঙ্গে পরের প্রজন্মের হাতে নেতৃত্বের ভার তুলে দিয়ে সরে গেলেন আসুর সভাপতি শঙ্করপ্রসাদ রায় ও সাধারণ সম্পাদক তপনকুমার গগৈ। বিজেপি দাবি করেছিল, আসু নেতারা বিজেপিতে যোগ দিতে চলেছেন। সমুজ্জ্বল অবশ্য সেই দাবি নস্যাৎ করেছেন।
গোয়ালপাড়া জেলার দুধনৈতে সংগঠনের ১৬ তম অধিবেশনে তিনি অবসরের কথা ঘোষণা করেন। অধিবেশনে যোগ দেওয়া ২৬টি সংগঠনের নেতারা ও বিভিন্ন শিক্ষাবিদ, অধ্যাপকরা সমুজ্জ্বলকে সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার অনুরোধ জানিয়েছেন। তবে তিনি বলেন, “অসম ও অসমবাসীর অধিকার আদায় করতে সকলকে হাতে হাত মিলিয়ে লড়তে হবে। যদি কেন্দ্র অসম চুক্তি অনুযায়ী রাজ্যবাসীর সব অধিকার মেনে নেওয়ার ব্যাপারে প্রতিশ্রুতি দেয়, তবে ভবিষ্যতে আসু শিক্ষাক্ষেত্র ছাড়া অন্যান্য ক্ষেত্রের আন্দোলনে অংশ নেবে না।” ১৯৮২ সালে অসম আন্দোলনের সময় আসুতে যোগ দেন তিনি। ১৯৮৯ থেকে ১৯৯৯ অবধি তিন দফায় সমুজ্জ্বল আসুর সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। অন্য দিকে, ২০০৫ সাল থেকে আসুর সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক থাকার পরে শঙ্করবাবু ও তপনবাবুও এদিন আনুষ্ঠানিকভাবে পদত্যাগের কথা ঘোষণা করেন। আসুর পরবর্তী সভাপতি হচ্ছেন বর্তমান সহ-সভাপতি দীপাঙ্ক নাথ ও পরবর্তী সাধারণ সম্পাদক হবেন লুরিনজ্যোতি গগৈ। দীপাঙ্ক দীর্ঘদিন ধরেই আসুর সদস্য। লুরিন ডিব্রুগড় বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক ছাত্র। এ বারের অধিবেশনে জাতীয় নাগরিক পঞ্জী সংশোধন করা, অনুপ্রবেশ, বৃহৎ নদীবাঁধ নির্মাণের বিরোধিতা ইত্যাদি বিষয়ে আলোচনা হয়। এ ছাড়াও অষ্টম শ্রেণী অবধি পাশ-ফেল প্রথা ফের চালু করার বিষয়ে আসুর এই বৈঠকে আলোচনা হয়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy