মন্দির চাই, বলছে সন্ত সমিতি।
মন্দির চাই! মোদীও চাই!
গোটা দেশ থেকে আসা সাধুদের দু’দিনের সমাবেশের শেষ দিনে আজ এই দাবি উঠল দিল্লির তালকাটোরা স্টেডিয়ামে। অখিল ভারতীয় সন্ত সমিতির অধিবেশনের শেষ দিন কার্যত পরিণত হল বিজেপির রাজনৈতিক প্রচারসভায়। ‘জয় শ্রীরাম’-এর পাশাপাশি আওয়াজ উঠল, ‘ফির মোদী চাহিয়ে’।
মন্দির সমস্যার সমাধানে দিল্লিতে দেশব্যাপী সাধু সংগঠনগুলির দু’দিনের বৈঠক ডেকেছিলেন সন্ত সমিতি। সেই বৈঠকে কাল দাবি ওঠে— মন্দির নির্মাণে আইন আনুক সরকার। বিষয়টি যখন সুপ্রিম কোর্টে বিচারাধীন, তখন ওই আইন আনা যে কঠিন তা বুঝতে পারছে সরকার। এই পরিস্থিতিতে আজ সুর নামিয়ে মন্দির নির্মাণে নরেন্দ্র মোদীর উপরেই আস্থা রাখার কথা বলেছে সন্ত সংগঠন। ঝাড়খণ্ড সঙ্ঘ-সমিতির সন্ত প্রমুখ স্বামী দিব্যানন্দের কথায়, ‘‘এই আমলে তবু কাজ এগিয়েছে। অন্য সরকার এলে তা-ও হবে না।’’ সন্ত সমিতির প্রধান স্বামী হংসদেবাচার্য বিজেপিকে জেতানোর ডাকও দেন। মন্দির নির্মাণের দাবিতে ২৫ নভেম্বর অযোধ্যা, নাগপুর, বেঙ্গালুরুতে ও ৯ ডিসেম্বর দিল্লিতে বড় মাপের ধর্ম মহাসভার আয়োজন করাও হচ্ছে।
আবার অখিল ভারতীয় হিন্দু মহাসভার উপাধ্যক্ষ স্বামী অবধেশানন্দের প্রশ্ন, ‘‘রাম মন্দির গঠনের মঞ্চ কেন রাজনৈতিক প্রচারের মঞ্চ হবে?’’ শ্রীধাম অবধ সংগঠনের আচার্য মধুর মহারাজের মতে, ‘‘এতে বিজেপির লাভ হবে। মন্দির হবে না।’’
আরও পড়ুন: ‘চূড়ান্ত সময়সীমা’ দিল আরএসএস, রামের চাপে নাকাল মোদী
তবে শুধুই জয়ধ্বনি নয়, অযোধ্যার এক প্রভাবশালী সন্ত স্বামী পরমহংস দাস জানিয়েছেন, ডিসেম্বরের ৫ তারিখের মধ্যে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ মন্দির নির্মাণের ঘোষণা না করলে ডিসেম্বরের ৬ তারিখে তিনি গায়ে আগুন দিয়ে আত্মঘাতী হবেন। অক্টোবরের ৬ তারিখে তিনি আমৃত্যু অনশন শুরু করেছিলেন। এ দিন তিনি বলেন, ‘‘সে সময়ে মুখ্যমন্ত্রী প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন, শীঘ্রই মন্দির নির্মাণের দিনক্ষণ ঘোষণা করা হবে। কিন্তু কিছুই করা হয়নি এর মধ্যে।’’
যোগী এ দিনই ঘোষণা করেছেন, দেওয়ালির দিনেই রামভক্তদের জন্য সুখবর দেবেন তিনি। আসলে অযোধ্যায় দেওয়ালির অনুষ্ঠানে ৩৫০ কোটি টাকা ব্যয়ে ৩০০ ফুট লম্বা রাম-মূর্তি নির্মাণের ঘোষণা করতে চলেছেন তিনি। সেই অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকতে রবিবারই দিল্লি এসে পৌঁছেছেন দক্ষিণ কোরিয়ার ‘ফার্স্ট লেডি’ কিম জুং-সুক। দেওয়ালির দিনে রামের নামে দিয়া জ্বালানোর আহ্বানও জানিয়েছেন যোগী। যা দেখে কংগ্রেস নেতা অভিষেক মনু সিঙ্ঘভি বলছেন, ‘‘সরকারের যাবতীয় ব্যর্থতা ঢাকতে ‘রাম তাস’ খেলছে বিজেপি-সঙ্ঘ। ভোটের মুখে বনবাস থেকে ফিরিয়ে আনা হচ্ছে রামকে। ১৯৯২ থেকে প্রতি ভোটে তারা এই কাজ করে। সরকারে এলে ফের বনবাসে যান রাম!’’ আরএসএস-কে এ যুগের মন্থরা ও বিজেপিকে কৈকেয়ী আখ্যা দিয়ে সিঙ্ঘভি দাবি করেন, মানুষ ২০১৯-এ এদের শিক্ষা দিতে তৈরি।
এসপি নেতা আজম খান আবার বলেন, ‘‘রামের মূর্তি কেন বল্লভভাই পটেলের মূর্তির থেকে ছোট হবে? পটেলের মূর্তি বসানোর আগেই তো তাদের এ বিষয়ে ভাবা দরকার ছিল!’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy