শ্রীকান্ত পুরোহিত ও সাধ্বী প্রজ্ঞা
মালেগাঁও বিস্ফোরণ কাণ্ডে লেফটেন্যান্ট কর্নেল শ্রীকান্ত পুরোহিত ও সাধ্বী প্রজ্ঞা-সহ চার জনকে মহারাষ্ট্র সংগঠিত অপরাধ আইন (মকোকা) থেকে রেহাই দিল আদালত। আজ এনআইএ আদালত জানিয়েছে, কেবল সন্ত্রাস দমন
আইন ইউএপিএ-তে ওই অভিযুক্তদের বিচার হবে। তিন অভিযুক্ত শ্যাম সাহু, শিবনারায়ণ কালসাঙ্গরা ও প্রভীণ তাকালকিকে এই মামলা থেকেই রেহাই দিয়েছেন বিচারক এস ডি টেকালে।
২০০৮-এর ২৯ সেপ্টেম্বর মালেগাঁওয়ে একটি বাইকের মধ্যে রাখা বিস্ফোরক ফেটে সাত জনের মৃত্যু হয়। ওই এলাকা মুসলিম অধ্যুষিত। এর আগেও ২০০৬-এর একটি বিস্ফোরণে মালেগাঁওয়ে ৩৭ জন নিহত হয়েছিলেন। ২০০৬ সালেই বিস্ফোরণে জড়িত থাকার অভিযোগে সাধ্বী ও পুরোহিত-সহ ১৪ জনকে গ্রেফতার করা হয়। তাঁরা সকলেই ‘অভিনব ভারত’ সংগঠনের সদস্য। প্রথমে মামলার ভার ছিল মহারাষ্ট্র পুলিশের সন্ত্রাস দমন শাখার হাতে। পরে দায়িত্ব পায় এনআইএ। ‘অভিনব ভারত’-এর পিছনে গৈরিক শিবিরের বড় অংশের সমর্থন রয়েছে বলে অভিযোগ তোলেন বিরোধীরা। মালেগাঁও কাণ্ড ‘গৈরিক সন্ত্রাস’-এর প্রথম মামলা হিসেবে পরিচিত হয়ে ওঠে।
নরেন্দ্র মোদী সরকার ক্ষমতায় আসার পরে অভিযোগ ওঠে, এই মামলায় অভিযুক্তদের রক্ষা করার চেষ্টা হচ্ছে। প্রাক্তন সরকারি কৌঁসুলি রোহিণী সালিয়ান দাবি করেন, সরকার বদলের পরেই এনআইএ তাঁকে এই মামলা থেকে সরিয়ে
দেয়। বর্তমানে সাধ্বী প্রজ্ঞা ও লেফটেন্যান্ট কর্নেল পুরোহিত জামিনে মুক্ত রয়েছেন।
আজ আদালতের নির্দেশের পরে ফের বিজেপির দিকে আঙুল তুলেছে কংগ্রেস। দলীয় মুখপাত্র শাকিল আহমেদের কথায়, ‘‘সকলেই জানে এই মামলায় অভিযুক্তদের রক্ষা করতে বিজেপি সরকার ও এনআইএ আইনজীবীদের উপরে চাপ দিচ্ছে। প্রাক্তন সরকারি কৌঁসুলিই সে কথা জানিয়ে দিয়েছেন।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy