এমন ঘটনা সংসদে শেষ বার ঘটেছিল ১৯৭০ সালে। পাশ হয়েছিল একটি বেসরকারি বিল। আবার সেই ঘটনা ঘটল ২০১৫ সালে। শুক্রবার রাজ্যসভায় সর্বসম্মতিক্রমে পাশ হয়ে গেল রূপান্তরকামীদের অধিকার সংক্রান্ত একটি বেসরকারি বিল। এই নিয়ে ভারতীয় সংসদের ইতিহাসে এমন ঘটনা ঘটল মাত্র ১৫ বার!
মন্ত্রী নন, এমন কোনও সাংসদ প্রতি শুক্রবার সংসদের উভয় কক্ষে যে কোনও বিষয়ে বিল আনতে পারেন। এটিকেই বলা হয় বেসরকারি বিল। এ দিন রাজ্যসভায় রূপান্তরকামীদের অধিকার সংক্রান্ত বিলটি আনেন ডিএমকে সাংসদ তিরুচি শিবা। সাধারণত বেসরকারি বিল নিয়ে আসার পরে সাংসদরা তা প্রত্যাহার করে নেন। এ দিনও এই বিলটি প্রত্যাহার করে নেওয়ার জন্য শিবাকে অনুরোধ করেন কেন্দ্রের একাধিক মন্ত্রী। কিন্তু নিজের অবস্থানে অনড় ছিলেন শিবা। ডিএমকে সাংসদের চাপে বিলটিকে সমর্থন জানায় সরকার পক্ষও। অবশেষে ৪৫ বছর পরে ধ্বনি ভোটে রাজ্যসভায় পাশ হয়ে গেল আরও একটি বেসরকারি বিল।
তবে নরেন্দ্র মোদী সরকার যে এই বিলটি পাশ করতে খুব আগ্রহী ছিল, এমন নয়। সামাজিক ন্যায় মন্ত্রী থাওরচন্দ্র গহলৌত বার বার শিবাকে বোঝানোর চেষ্টা করেন, এই বিল ত্রুটিপূর্ণ। এ ধরনের একটি বিল নিয়ে সরকার ইতিমধ্যেই ভাবনাচিন্তা শুরু করেছে। তার জন্য ১০-১২টি মন্ত্রকের সঙ্গে আলোচনা করতে হবে। তাই আপাতত এই বিলটি প্রত্যাহার করে নেওয়া উচিত। কিন্তু সব দিক থেকেই তৈরি ছিলেন শিবা। আজ তিনি রূপান্তরকামীদের কিছু প্রতিনিধিকেও সংসদে নিয়ে এসেছিলেন। তাঁদের সঙ্গে নিয়ে সাংসদ দেখা করেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলির সঙ্গে। সরকারও বুঝতে পারে এই বিলটি পাশ করাতে তারা আগ্রহ না দেখালে জনমানসে ভুল বার্তা যাবে। রূপান্তরকামীদের প্রতি সরকার সংবেদনশীল নয়, এমন প্রচারও হতে পারে। ফলে আর কোনও ঝুঁকি না নিয়ে বিলটি সমর্থন করার সিদ্ধান্ত নেন জেটলি। সরকার সমর্থনে এগিয়ে আসায় ধ্বনি ভোটে রাজি হয়ে যান শিবা।
বিলটি পাশ হয়ে যাওয়ার পরে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী নির্মলা সীতারামন বলেন, ‘‘সরকার সমাজের এই প্রান্তিক মানুষদের প্রতি যে সংবেদনশীল, সেই বার্তাই দিয়েছে। এর পর সরকার এই বিলের সারমর্মের ভিত্তিতে বিল আনবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy