—ফাইল চিত্র।
বান্ধবীকে আড়াই কোটি টাকার অডি গাড়ি উপহার দিয়ে শিরোনামে এসেছিলেন তিনি। যে সে গাড়ি নয়, ভারত অধিনায়ক বিরাট কোহালির থেকে কেনা গাড়ি। এ বারও ফের শিরোনামে তিনি। তবে, জালিয়াতি, তোলাবাজি-সহ একাধিক দুর্নীতির অভিযোগে। অভিযোগ, একাধিক মার্কিন নাগরিককে ঠকিয়ে ১৯২ কোটিরও বেশি টাকা নিজের পকেটে পুরেছেন তিনি। মাত্র চব্বিশেই তাঁর গুণপনায় অবাক পুলিশের তাবড় কর্তারা। আপাতত পুলিশের জালে মুম্বইয়ের সাগর ঠক্কর। আগামী ১৩ এপ্রিল পর্যন্ত শ্রীঘরেই কাটাতে হবে তাঁকে।
পুলিশ জানিয়েছে, মাত্র ষোলো বছর বয়সেই জালিয়াতি-জোচ্চুরিতে হাত পাকিয়েছেন সাগর। বিলাসবহুল গাড়ি, জাঁকজমক জীবনযাপনেই বেশি অভ্যস্ত। মুম্বইয়ে লেটনাইট পার্টির চেনামুখ তিনি। সে সমস্ত পার্টিতে একাধিক দেহরক্ষী নিয়ে ঘুরে বেড়াতেন সাগর ওরফে শ্যাগি।
আরও পড়ুন
ট্রেন এল, আঁচলের খুঁট দিয়ে চোখ মুছলেন বৃদ্ধা
কী ভাবে পুলিশের জালে ধরা পড়লেন সাগর?
গত ২০১৩ থেকেই ঠাণেতে একাধিক কল সেন্টারের মাধ্যমে জালিয়াতি চালিয়ে যাচ্ছিলেন সাগর। কম্পিউটার ও অন্যান্য প্রযুক্তিতে ওস্তাদ সাগর ওই কল সেন্টারগুলিতে একাধিক কর্মী নিয়োগ করেন। তাঁরাই মার্কিন মুলুকে বসবাসকারী প্রায় দেড় হাজার করদাতার কাছে ফোন করতেন। আয়কর বা অভিবাসন দফতরের আধিকারিকের পরিচয়ে তাঁদের কাছে ভুয়ো ঋণের টাকাও চাইতেন। টাকা না দিলে পুলিশে নাম জানিয়ে দেওয়ারও হুমকি দিতেন তাঁরা। ইতিমধ্যেই এ ধরনের জালিয়াতির অভিযোগে ওই কল সেন্টারের ৬১ জন কর্মী ও সংস্থার বিরুদ্ধে চার্জ গঠন করেছে মার্কিন পুলিশ।
গত বছর ৪ ও ৫ অক্টোবর ঠাণের মীরা রোডের একটি কল সেন্টারে অভিযান চালিয়ে একাধিক ব্যক্তিকে আটক করে পুলিশ। এর পর একই অভিযোগে আমদাবাদেও একটি কল সেন্টার বন্ধ করে দেওয়া হয়। প্রায় ৭০ জন্য শীর্ষ কর্তা-সহ ৭০০ জন কল সেন্টার কর্মীকে গ্রেফতার করে পুলিশ। পুলিশি জেরায় উঠে আসে সাগর ঠক্করের নাম। এর পরই সাগরের খোঁজ শুরু করে পুলিশ। তবে ৫ অক্টোবরই দেশ ছেড়ে পালায় সাগর। দু’দিন পরে তার জন্য লুকআউট নোটিশ জারি করা হয়। শনিবার দুবাই থেকে মুম্বই বিমানবন্দরে পা রাখা মাত্রই তাঁকে গ্রেফতার করে পুলিশ। ঠাণের পুলিশ কমিশনার পরমবীর সিংহ জানিয়েছেন, আগামী ১৩ এপ্রিল পর্যন্ত সাগরকে পুলিশি হেফাজতে রাখার নির্দেশ দিয়েছে আদালত।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy