সরকারি অস্ত্র কারখানা থেকেই অপরাধীর কাছে রাইফেল ও গুলি পৌঁছে যাচ্ছে। রাজ্য পুলিশের ডিজি পি কে ঠাকুর বলেন, ‘‘সিওয়ান থেকে আমরা এক অস্ত্র-ব্যবসায়ী দলকে গ্রেফতার করেছি। সেই দলের কাছ থেকে আমরা সরকারি অস্ত্র ভাণ্ডারের রাইফেল ও গুলি উদ্ধার করেছি।’’ গোটা বিষয়টি কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক ও প্রতিরক্ষা মন্ত্রককে জানানো হয়েছে। এ ছাড়া, উত্তরপ্রদেশ পুলিশকেও বিষয়টি জানানো হয়েছে।
বিহার পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, গত কয়েক মাস ধরেই রাজ্যের বিভিন্ন ‘ট্রানজিট পয়েন্ট’গুলিতে নজর রাখা হচ্ছিল। নেপালের সঙ্গে রাজ্যের সীমান্তবার্তী এলাকাতেও তল্লাশি চালানো হচ্ছিল। সেই সূত্রেই সিওয়ান থেকে খবর মেলে, উত্তরপ্রদেশের কানপুরের অস্ত্র কারখানা থেকে গুলি-বন্দুক ঢুকছে বিহারে। অস্ত্র ব্যবসায়ীদের দলটিকে ধরতে জাল পাতে পুলিশ। সেই জালেই পা দেয় পাচারকারীরা। গত রবিবার চার জনকে সিওয়ান থেকেই গ্রেফতার করা হয়। ধৃতদের মধ্যে তিন জনের বাড়ি বিহারের খগারিয়ায় এবং এক জনের বাড়ি কানপুরে। তাঁদের কাছ থেকে সরকারি অস্ত্র কারখানায় তৈরি ন’টি রাইফেল এবং শতাধিক গুলি আটক করা হয়েছে।
গুলি-রাইফেল ছাড়াও পুলিশ ধৃতদের কাছে ন’টি নকল আইডি, ছ’টি আধার কার্ড পাওয়া গিয়েছে। এ ছাড়া যে গাড়িতে অস্ত্র নিয়ে আসা হয়েছিল সেটিও উত্তরপ্রদেশের নম্বরের। বিহার পুলিশের কর্তারা তদন্তে জানতে পেরেছেন, কানপুরের অস্ত্র কারখানার থেকে জাল লাইসেন্স দিয়ে ওই রাইফেলগুলি নেওয়া হয়েছে। জেরায় ধৃতরা জানিয়েছে, কানপুরের অস্ত্রের দোকানের মাধ্যমে পাওয়া ওই নকল লাইসেন্স দিয়েই কারখানা থেকে রাইফেল সংগ্রহ করা হয়েছে। উদ্ধার হওয়া সমস্ত অস্ত্রই অত্যাধুনিক এবং উন্নত মানের। এক একটি রাইফেলের দাম প্রায় তিন লক্ষ।
সিওয়ানের পুলিশ সুপার রাজেশ কুমার বলেন, ‘‘ধৃতদের দলটি গোটা বিহার জুড়ে অস্ত্র পাচার করে। উত্তরপ্রদেশেও এই দলটি অস্ত্র পাচার করত।’’ ধৃতদের সরবরাহ করা অস্ত্র বিহারের কোথায় কোথায় রয়েছে তার খোঁজ শুরু করেছে পুলিশ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy