বিচারপতি নিয়োগের নয়া আইন সংসদে পাশ হয়েছে বৃহস্পতিবার। তার পরের দিনই রাষ্ট্রের বিভিন্ন অঙ্গের মধ্যে সম্পর্ক নিয়ে মুখ খুললেন প্রধান বিচারপতি আর এম লোঢা। গত কাল সুপ্রিম কোর্টে স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, “আইনসভা, প্রশাসন ও বিচার বিভাগের পরস্পরের প্রতি শ্রদ্ধা থাকা উচিত।”
প্রধান বিচারপতির মতে, আইনসভা, প্রশাসন ও বিচার বিভাগে পরিণতমনস্ক মানুষ আছেন। তাই পরস্পরের এক্তিয়ারকে সম্মান করে চলা কঠিন নয়। তাঁর কথায়, “যাঁরা সংবিধান তৈরি করেছিলেন তাঁরাও তা-ই চেয়েছিলেন।’’ ইউপিএ জমানায় বেশ কয়েক বার আদালতের অতিসক্রিয়তা নিয়ে সরব হয়েছে সরকার। আবার প্রধান বিচারপতির আপত্তি সত্ত্বেও বিচারপতি নিয়োগের নয়া আইন পাশ করিয়েছে কেন্দ্র। ফলে, প্রধান বিচারপতির এই মন্তব্য তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করা হচ্ছে।
ফৌজদারি মামলার দীর্ঘসূত্রতা নিয়ে তীব্র সমালোচনার মুখে পড়তে হয় বিচার বিভাগকে। বিচারপতি লোঢা বলেন, “মানুষের যন্ত্রণা ও মানবাধিকার খর্ব হওয়ার ঘটনা আমার পক্ষেও বেদনাদায়ক।” বিচারক ও বিচারপতি নিয়োগের একটি হিসেবও দিয়েছেন তিনি। লোঢার কথায়, “কলেজিয়াম কেবল হাইকোর্ট ও সুপ্রিম কোর্টের ১ হাজারেরও কম বিচারপতি নিয়োগ করে। নিম্ন আদালতের ১৯ হাজার বিচারক নিয়োগ করে বিভিন্ন রাজ্য।” বিচারকের সংখ্যা বাড়ানোয় উদ্যোগী হতে কেন্দ্রকে অনুরোধ করেন তিনি। সেই সঙ্গে পুলিশ, সরকারি কৌঁসুলিদের হাতে আধুনিক প্রযুক্তির হাতিয়ার তুলে দেওয়ার বিষয়েও সরকারের আরও উদ্যোগী হওয়া প্রয়োজন বলে মনে করেন প্রধান বিচারপতি।
অনুষ্ঠানে হাজির ছিলেন কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রী রবিশঙ্কর প্রসাদ। তিনি জানান, বিচারবিভাগের সম্মান রক্ষায় নরেন্দ্র মোদী সরকার বদ্ধপরিকর। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে অনেক আইনই বাতিল করার প্রয়োজন হয়। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ মেনে ইতিমধ্যেই এই ধরনের ৩৬টি আইনকে চিহ্নিত করা হয়েছে। সংসদের পরবর্তী অধিবেশনে ২০০-৩০০টি আইন বাতিল করা হবে বলে আশা আইনমন্ত্রীর।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy