সাহায্যের হাত, মুখ্যমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিলে ২১ কোটি টাকা দান
বন্যা বিধ্বস্ত কেরলের পুনর্গঠনে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিল রিলায়েন্স ফাউন্ডেশন। কেরলের মুখ্যমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিলে ২১ কোটি টাকা দেওয়ার পাশাপাশি প্রায় ৫০ কোটি টাকার ত্রাণসামগ্রীও পাঠানো হয়েছে সংস্থার তরফে।
“কেরলের এই দুর্দিনে উদ্ধারকার্য, ত্রাণ ও পুনর্বাসনে জড়িয়ে পড়া আমাদের নৈতিক দায়িত্ব। পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত আমরা দুর্গত মানুষদের পাশে থাকব’’, জানিয়েছেন সংস্থার চেয়ারপার্সন নিতা অম্বানী।
রিলায়েন্স ফাউন্ডেশনের পাশাপাশি রিলায়েন্স ইন্ডাস্ট্রিজ ও সেই গ্রুপের বিভিন্ন কোম্পানিগুলিও কেরলে ত্রাণ ও পুনর্বাসনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিয়েছে। বন্যায় সবথেকে ক্ষতিগ্রস্ত ছ’টি জেলা এর্নাকুলাম, ওয়েনাড, আলাপুঝা, থ্রিসুর, ইদুক্কি ও পাথানামথিত্তা জেলায় শুরু থেকেই উদ্ধারকার্য ও ত্রাণে অংশ নিয়েছেন রিলায়েন্স ফাউন্ডেশনের স্বেচ্ছাসেবক ও কর্মীরা। কখনও আবহাওয়ার গুরুত্বপূর্ণ পূর্বাভাস, কখনও অস্থায়ী ত্রাণ শিবিরের স্থান, কখনও টোল-ফ্রি নম্বর দিয়ে বিপর্যয় মোকাবিলা দফতরের কাজে সাহায্য করেছে রিলায়েন্স ফাউন্ডেশন ইনফরমেশন সার্ভিস।
দুর্গতদের পাশে রিলায়েন্স ফাউন্ডেশনের চেয়ারপার্সন নিতা অম্বানী
বিপর্যয়ের পর ১৫,০০০ পরিবারকে চিহ্নিত করা হয়েছে, যাঁদের আগামী দিনে বাঁচার জন্য প্রয়োজনীয় রসদ দিয়ে সাহায্য করা হবে বলে জানিয়েছে রিলায়েন্স ফাউন্ডেশন। এ ছাড়া ১৬০টি ত্রাণ শিবিরে আশ্রয় নেওয়া ৫০,০০০ দুর্গত মানুষকে প্রয়োজনীয় খাবার, গ্লুকোজ ও স্যানিটরি ন্যাপকিন পৌঁছে দিয়েছে রিলায়েন্স রিটেল। তাঁদের পাঠানো ত্রাণ সামগ্রীর অর্থমূল্য প্রায় ৫০ কোটি টাকা।
বন্যা পরবর্তী মহামারি আটকাতে তিনটি জেলায় মেডিক্যাল ক্যাম্প তৈরি করা হবে বলেও সংস্থার তরফে জানানো হয়েছে। এ ছাড়া জেলা প্রশাসনের মাধ্যমে দুর্গত মানুষদের জন্য প্রয়োজনীয় ওষুধ সরবরাহ করা হবে বলে জানিয়েছে রিলায়েন্স ফাউন্ডেশন।
উদ্ধারকার্যে নেমেছে রিলায়েন্স জিও। দুর্গত মানুষদের যোগাযোগের সুবিধের জন্য সাতদিনে ফ্রি ডেটা ও ভয়েস প্যাক দেওয়া হয়েছে জিও ব্যবহারকারীদের। বিপর্যয়ের গুরুত্ব বুঝে ইদুক্কি জেলা সদর ও তার আশপাশে বিএসএনএলকেও সাহায্যের হাত বাড়িয়েছে রিলায়েন্স জিও। যে গ্রাহকদের খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিল না, তাঁদের জন্য বিশেষ টোল-ফ্রি নম্বরের ব্যবস্থা করা হয়েছিল, যেখানে ফোন করলেই হারিয়ে যাওয়া মানুষটির শেষ পাওয়া লোকেশন এসএমএস করে শেয়ার করে দেওয়া হচ্ছিল। বিপর্যয় মোকাবিলায় এই ব্যবস্থা যথেষ্ট প্রশংসিতও হয় বিভিন্ন মহলে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy