জুতো-কাণ্ডে বিতর্কিত শিবসেনা সাংসদ রবীন্দ্র গায়কোয়াড়ের বিমানের দু’টি টিকিট বাতিল করে দিল এয়ার ইন্ডিয়া।
গায়কোয়াড় আগামিকাল সকালে মুম্বই থেকে দিল্লি আসার জন্য টিকিট কেটেছিলেন। কিন্তু তা বাতিল করে দেয় এয়ার ইন্ডিয়া। এর পরে কাল সকালের জন্যই হায়দরাবাদ থেকে দিল্লি আসার টিকিট কাটেন শিবসেনার ওই সাংসদ। কিন্তু সেটিও বাতিল করে এয়ার ইন্ডিয়া। বিমান কর্মীকে মারধরের ঘটনার পরে গায়কোয়াড়ের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে বিমান সংস্থাগুলি। কিন্তু এয়ার ইন্ডিয়ার দু’টি ওপেন টিকিট ওই ঘটনার আগেই কাটা হয়েছিল। সাংসদের উপর চাপ বাড়াতে এয়ার ইন্ডিয়ার এই পদক্ষেপের মধ্যেই যদিও সমাধানসূত্র খোঁজার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে নরেন্দ্র মোদী সরকার। গায়কোয়াড়কে ক্ষমা চাওয়ানোর জন্য শিবসেনা প্রধান উদ্ধব ঠাকরের কাছে প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে।
তবে দেশজুড়ে তুমুল সমালোচনার পরেও ওই সাংসদ যে ভাবে অনড় মনোভাব নিয়েছেন, তাতে পরিস্থিতি ঘোরালো হয়ে উঠেছে বলেই মনে করছেন বিজেপির শীর্ষ নেতারা। রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের দিকে তাকিয়ে শিবসেনার সঙ্গে সম্পর্কের জটিলতা চাইছেন না বিজেপির শীর্ষ নেতারা। কিন্তু গায়কোয়াড় বিমান কর্মীকে মারধর করার পরে যে ভাবে উদ্ধত আচরণ করে যাচ্ছেন, তাতে ক্ষুব্ধ বিজেপি নেতারা। তবে একই সঙ্গে মোদী সরকার চাইছে, সাংসদকে নিয়ে জটিলতার অবসান হওয়া উচিত। সে জন্যই গায়কোয়াড়কে ক্ষমা চাইয়ে সমাধানসূত্র খোঁজার চেষ্টা চলছে। এক কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর মন্তব্য, ‘‘উদ্ধব নিজেও মনে করছেন, গায়কোয়াড়ের ক্ষমা চাওয়া উচিত। কিন্তু শিবসেনার সাংসদ অনড় রয়েছেন।’’
বিমানমন্ত্রী অশোক গজপতি রাজু গত কালই স্পষ্ট করে দিয়েছেন, চাইলে কোনও বিমান সংস্থা কোনও যাত্রীকে বিমানে না তোলার সিদ্ধান্ত নিতেই পারে। কিন্তু সাংসদকে ঘিরে এমন ঘটনা ঘটলে এর সঙ্গে তাঁর স্বাধিকারের প্রশ্ন জড়িয়ে যায়। স্পিকার সুমিত্রা মহাজনও সে জন্য বিষয়টির দ্রুত সমাধান চাইছেন। তবে সরকার মনে করছে, বিমান পরিবহণ সংস্থার কর্মীদের সম্মান এর সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে। তাই এমন পদক্ষেপ করতে হবে যাতে শিবসেনাও বিমানকর্মী— দু’পক্ষেরই মর্যাদা বজায় থাকে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy