শ্রা শ্রী রবিশঙ্কার।
অযোধ্যা বিতর্ক মেটাতে ধর্মগুরু শ্রী শ্রী রবিশঙ্করের প্রয়াসে আদৌ কোনও সমাধানসূত্র বের হবে কিনা, তা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করল বেশ কয়েকটি মুসলিম সংগঠন। এমনকী বিশ্ব হিন্দু পরিষদও এই মুহূর্তে এই ধরনের আলোচনার যৌক্তিকতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে। তবে আগামী কাল তাঁর অযোধ্যা সফরের আগে রবিশঙ্কর এ দিন উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। তাঁর দাবি, রাজ্য সরকার এ ব্যাপারে কোনও পক্ষ নেবে না।
দু’টি সম্প্রদায়ের নেতাদের সঙ্গে আলাপ আলোচনার মধ্য দিয়ে রাম জন্মভূমি-বাবরি মসজিদ বিতর্ক মেটাতে রবিশঙ্করের প্রয়াস নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন অল ইন্ডিয়া মুসলিম পার্সোনাল ল’ বোর্ডের সাধারণ সম্পাদক মৌলানা ওয়ালি রেহমানি। তিনি জানান, তাঁদের সংগঠনের সঙ্গে রবিশঙ্কর এখনও যোগাযোগ করেননি। রেহমানি বলেন, ‘‘১২ বছর আগে আযোধ্যার বিষয়ে এমন ভাবেই এগিয়েছিলেন রবিশঙ্কর। কিন্তু সেই সময়ে তিনি সিদ্ধান্তে পৌঁছন যে বিতর্কিত জমি হিন্দুদের হাতে ছেড়ে দিতে হবে।’’ তবে ‘‘উনি এখন কী প্রস্তাব নিয়ে আসেন সেটাই দেখার’’— মম্তব্য মৌলানার।
অযোধ্যার বিতর্কিত জমিতে মন্দির গড়তে সায় দিয়েছিলেন শিয়া সেন্ট্রাল ওয়াকফ বোর্ডের চেয়ারম্যান ওয়াসিম রিজভি। তাঁর সেই বক্তব্যকে ‘অপ্রয়োজনীয়’ আখ্যা দিয়েছে শীর্ষস্থানীয় মুসলিম সংগঠনগুলি। রেহমানি বলেন, ‘‘বিতর্কিত জমি কারও হাতে তুলে দেওয়ার ক্ষমতা কোনও বোর্ডের চেয়ারম্যানেরই নেই।’’ শিয়া পার্সোনাল ল’ বোর্ডের মুখপাত্র মৌলানা ইয়াসুব আব্বাস বিষয়টি নিয়ে মন্তব্য করতে না চাইলেও জানিয়েছেন এ ব্যাপারে তাঁরা মুসলিম পার্সোনাল ল’ বোর্ডের পাশেই রয়েছেন।
শুধু মুসলিম সংগঠনগুলিই নয়, বিশ্ব হিন্দু পরিষদের মুখপাত্র শরদ শর্মা মনে করছেন, এখন আলোচনার প্রক্রিয়া শুরু করার কোনও যুক্তি নেই। কারণ তাঁর দাবি, ‘‘অযোধ্যা বিতর্কে পুরাতাত্ত্বিক তথ্য হিন্দুদের পক্ষে রয়েছে। আর রাম জন্মভূমির বিষয় নিয়ে ধর্মসংসদ আলোচনা করছে। ফলে এখন আলোচনার দরকার নেই।’’
মুসলিম সংগঠনগুলি অযোধ্যা নিয়ে আলোচনায় সন্দেহ প্রকাশ করলেও রবিশঙ্করের কাছে নির্দিষ্ট প্রস্তাব জানতে চাইছে। রবিশঙ্কর অবশ্য জানিয়ে দিয়েছেন, তিনি কোনও বিশেষ প্রস্তাব নিয়ে এগোতে চান না। শুধু সব পক্ষের কথা শুনতে চাইছেন। আগামী কাল অযোধ্যায় যাবেন তিনি। তার আগে আদিত্যনাথের সঙ্গে মিনিট কুড়ি আলোচনা করেন রবিশঙ্কর। পরে দাবি করেন, ‘‘অযোধ্যা নিয়ে যোগী সরকারের অবস্থান স্পষ্ট। তারা কোনও পক্ষ নেবে না। আদালতের রায়ের সম্মান করবে।’’ রবিশঙ্কর এ দিন সাধুদের সংগঠন দিগম্বর ও নির্মোহী আখাড়ার পদাধিকারীদের সঙ্গেও আলোচনা করেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy