ডেপুটি স্পিকার বনাম ডেপুটি কমিশনার লড়াইয়ে বিজেপি-র রাজ্য কমিটির সাধারণ সম্পাদক রাজদীপ রায় দলের নেতার বদলে আমলার পাশে দাঁড়ালেন।
রাজদীপবাবুর বক্তব্য, রাজনৈতিক দল হিসেবে বিজেপি মানুষের উপকারের জায়গায় বিশেষ গুরুত্ব দেয়। উচ্ছেদ অভিযান নিয়েই যে দিলীপকুমার পাল ও এস বিশ্বনাথনে দ্বন্দ্ব বেঁধেছে, সে কথা পরিষ্কার করে দিয়ে তিনি বলেন, ‘‘সরকারি জমি থেকে জবরদখল হটানো সরকারের সিদ্ধান্ত। সে কাজে কোনও স্তরের বিজেপি কর্মীর দ্বিমত থাকা উচিত নয়।’’
সাংবাদিক বৈঠক ডেকে জেলাশাসকের বিরুদ্ধে নানা মন্তব্যকে যে তিনি সমর্থন করেন না, উল্লেখ করেন সে-কথাও। তিনি বলেন, ‘‘স্থানীয় বিধায়ক হিসেবে দিলীপবাবুর কোনও বক্তব্য থাকলে তিনি যে কারও সঙ্গে এ নিয়ে আলোচনা করতে পারতেন। এমনকী, জেলাশাসকের সঙ্গেও কথা বলতে পারতেন।’’
উচ্ছেদ অভিযানের জন্য জেলাশাসক এস বিশ্বনাথনকে প্রশংসায় ভাসান তিনি। রাজদীপবাবু জানান, তাঁর জন্যই এত দিনের জবরদখল উচ্ছেদে বিশাল উদ্যোগ নেওয়া সম্ভব হয়েছে। একে লোকদেখানো বলা যায় না। তাঁর দাবি, শহরের ৯৯ শতাংশ লোক উচ্ছেদ অভিযানের জন্য জেলা প্রশাসন ও পুরসভার পাশে রয়েছে।
গত মাসে জেলাশাসক এস বিশ্বনাথনের বদলি রদ হওয়ার পিছনে রাজদীপবাবুর হাত রয়েছে, এমনই অভিযোগ দিলীপ-শিবিরের। রাজদীপবাবু এ দিন স্পষ্ট করে বলেন, ‘‘যুক্তি দিয়ে বদলির পক্ষে-বিপক্ষে মুখ্যমন্ত্রী ও অর্থমন্ত্রীকে বলেছিলাম। পরে বিশ্বনাথনকে রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তাঁরা।’’ সেই সিদ্ধান্ত মোটেই ভুল নয়, দাবি করে রাজদীপবাবু বলেন, ‘‘দিন দিন বিশ্বনাথনের প্রতি মানুষের আস্থা বাড়ছে।’’
প্রসঙ্গত, এ দিন সকালে রাঙ্গিরখালে খনন শুরু হয়েছে। কিছু দিন আগে এই খালকে দখলমুক্ত করা হয়। প্রশাসনিক সূত্রে জানা গিয়েছে, কিছু দিনের মধ্যে সিঙ্গিরখাল এবং লঙ্গাইখালেও উচ্ছেদ অভিযান চালানো হবে। এরপর ওই খাল দু’টির গভীরতা বাড়ানো হবে। ২৮ ফেব্রুয়ারির মধ্যে খালগুলিকে পুরনো চেহারায় ফিরিয়ে আনার লক্ষ্যে যুদ্ধকালীন তৎপরতায় কাজ চলছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy