হাওড়া নিউ কমপ্লেক্সের কাউন্টারে। — নিজস্ব চিত্র
রেলের আসন সংরক্ষণ কেন্দ্রগুলিতে পাঁচশো হাজার টাকার পুরনো নোট নেওয়া আগেই বন্ধ হয়েছে। পর্যাপ্ত নগদ এখনও মিলছে না। নগদের এই টানাটানির মধ্যে এ বার টিকিট কাউন্টারগুলিতে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের কার্ড সোয়াইপ মেশিন বসাতে শুরু করল রেল। রেলের প্রতিটি জোনেই স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়ার মাধ্যমে ওই মেশিনগুলি ‘লিঙ্ক’ বা যুক্ত করা হচ্ছে।
রেলে সময় মেনে চলার বালাই নেই। সোয়াইপ মেশিন বসানোর ক্ষেত্রেও রেল যথারীতি লেট! ওই যন্ত্র বসানোর কাজ ১০ ডিসেম্বরের মধ্যে শেষ করার নির্দেশ দিয়েছিল রেল বোর্ড। কিন্তু রেলের বিভিন্ন জোনে সেই কাজ সবে শুরু হয়েছে। দেরির কারণ হিসেবে বলা হচ্ছে, যথেষ্ট সংখ্যায় সোয়াইপ মেশিন আসেনি। রেলকর্তারা জানাচ্ছেন, তাঁদের টিকিট বিক্রির ক্ষেত্রে ব্যাঙ্কের কার্ড ও নগদ, দু’টি ব্যবস্থাই চালু থাকছে।
বেশির ভাগ জোনে প্রথমে মেশিন বসানো হচ্ছে দূরপাল্লার ট্রেনের সংরক্ষণ কেন্দ্রগুলিতে (পিআরএস)। দক্ষিণ-পূর্ব রেল অবশ্য একই সঙ্গে অসংরক্ষিত টিকিট কেন্দ্রেও (ইউটিএস) মেশিন বসানোর কাজ শুরু করেছে। ওই রেলের তরফে বলা হয়েছে, হাওড়া স্টেশনের নতুন কমপ্লেক্সে একটি কাউন্টারে ইতিমধ্যে ওই মেশিন বসিয়ে লোকাল ট্রেনের টিকিট বিক্রি করা হচ্ছে। এ ছাড়া কলকাতার পুরনো কয়লাঘাট, রবীন্দ্র সদন, গার্ডেনরিচের সঙ্গে সঙ্গে ওই মেশিন বসানো হয়েছে খড়্গপুর, চক্রধরপুর, টাটানগর, আদ্রা এবং রৌরকেলার আসন সংরক্ষণ কেন্দ্রে।
তবে পূর্ব রেল শুধু দূরপাল্লার আসন সংরক্ষণ কেন্দ্রগুলিতেই ওই মেশিন বসানোর কাজ শুরু করেছে। ইতিমধ্যে হাওড়া, শিয়ালদহ ও নতুন কয়লাঘাট কেন্দ্রে চালু হয়েছে তাদের মেশিন। ওই রেল সূত্রের খবর, ব্যাঙ্ক থেকে আপাতত ২৫০টি সোয়াইপ মেশিন আনা হয়েছে। নতুন বছরের মাঝামাঝি আরও ৮৫০টি মেশিন আসার কথা। ওই মেশিনগুলি এসে গেলে অসংরক্ষিত কেন্দ্রগুলিতেও বসানো হবে সোয়াইপ মেশিন।
উত্তর সীমান্ত রেলেও ওই মেশিন বসানোর কাজ শুরু হয়েছে। আপাতত কামাখ্যা আসন সংরক্ষণ কেন্দ্রে ওই মেশিনে টিকিট বিক্রি করা হচ্ছে। পিছিয়ে নেই মেট্রো রেলও। শুক্রবারেই তাদের পার্ক স্ট্রিট স্টেশনে ব্যাঙ্কের কার্ড সোয়াইপ মেশিন বসানো হয়েছে। ধীরে ধীরে সব স্টেশনেই ওই যন্ত্র বসানো হবে বলে জানান মেট্রোর কর্তারা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy