কচি মুরগি দিয়ে রাঁধা পদ চিকেন রোস্ট উইথ বয়েলড ভেজিটেবলস। বা ওই একই রকম সিদ্ধ তরিতরকারি-সহ গ্রিলড ফিশ, খাঁটি কলকাতা বেকটির। কিংবা সত্যিকার ফাউল কাটলেট। ফিশ ফ্রাই তো আছেই। আর শেষ পাতে মিষ্টিমুখের জন্য? আইসক্রিম নয়, ব্রেড পুডিং কিংবা ফ্রুট ট্রাফল।
মহারাজা এক্সপ্রেস বা সাবেক প্যালেস অন হুইলস বাদ দিলে চলমান ট্রেনে বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই এই সব সুস্বাদু খাবার এখন স্মৃতি মাত্র। তবে ট্রেনে খাবার তৈরি ও পরিবেশনের সম্পূর্ণ দায়িত্ব পেয়ে রেল সফরে ওই সব পদই ফিরিয়ে আনতে উদ্যোগী হয়েছে ইন্ডিয়ান রেলওয়ে কেটারিং অ্যান্ড ট্যুরিজম কর্পোরেশন বা আইআরসিটিসি।
রেলের রাঁধুনিদের ওই সব পদ তৈরির পাঠ দেবেন কলকাতার কিছু নামী হোটেল-রেস্তোরাঁর শেফরা। আইআরসিটিসি প্রাথমিক ভাবে ঠিক করেছে, তাদের রাঁধুনিরা পর্যায়ক্রমে ওই ওস্তাদ কারিগরদের কাছে কয়েক সপ্তাহ প্রশিক্ষণ নেবেন। তা ছাড়া, নদিয়ার তাহেরপুর ও রানাঘাট, ঝাড়খণ্ডের রাঁচী এবং ওড়িশার পিপিলি-তে রেলের কয়েক জন অবসরপ্রাপ্ত রাঁধুনি আছেন। যাঁদের রান্নার হাত সোনা দিয়ে বাঁধিয়ে রাখার মতো, খাওয়ার পর এমনই বলতেন রেলের কর্তারা। সাম্মানিকের বিনিময়ে আইআরসিটিসি তাঁদেরও প্রশিক্ষক হিসেবে চাইছে।
সোমবার নতুন কেটারিং নীতি ঘোষণা করে রেলের অধীন ওই সংস্থার হাতে খাবারের সমস্ত দায়িত্ব তুলে দিয়েছেন রেলমন্ত্রী সুরেশ প্রভু। তার পর আইআরসিটিসি যাত্রীদের পছন্দের কথা মাথায় রেখে পুরনো বহু পদ ফিরিয়ে আনার সিদ্ধান্ত প্রাথমিক ভাবে নিয়েছে।
কিন্তু সমস্যা অন্যত্র। উপকরণ না হয় সংস্থা কিনে দিল, তবে কে বা কারা রাঁধবেন ওই সব পদ? উপযুক্ত রাঁধুনি কি আদৌ তাদের কাছে আছে?
আরও পড়ুন:রেলের খাবারের দায়িত্বে ফের আইআরসিটিসি
আইআরসিটিসি-র পূর্বাঞ্চলের গ্রুপ জেনারেল ম্যানেজার দেবাশিস চন্দ্র বলেন, ‘‘ট্রেনে পুরনো খাবার, বিশেষ করে সুস্বাদু কন্টিনেন্টাল পদ ফিরিয়ে আনতে রেলের এখনকার রাঁধুনিদের উপযুক্ত প্রশিক্ষণ জরুরি। নামী রেস্তোরাঁর শেফ যেমন, তেমনই রেলের কয়েক জন অবসরপ্রাপ্ত শেফ-কে ওই প্রশিক্ষণ দেওয়ার কাজে সামিল করার চেষ্টা হবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy