প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর পরে এ বার কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের মানহানির দায়ে অভিযুক্ত কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী। শুক্রবার এই মামলায় উত্তরপ্রদেশের সুলতানপুর আদালতে হাজিরা দেবেন লোকসভার বিরোধী দলনেতা।
রাহুলের বিরুদ্ধে অভিযোগ, ২০১৮ সালে কর্নাটকে বিধানসভা ভোটের প্রচারে গিয়ে শাহের বিরুদ্ধে অবমাননাকর মন্তব্য করেছিলেন তিনি। উত্তরপ্রদেশের বিজেপি নেতা বিজয় মিশ্র রাহুলের বিরুদ্ধে ওই অভিযোগে সুলতানপুর আদালতে মামলা করেন। চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে আদালত রাহুলের জামিনের আবেদন মঞ্জুর করে তাঁকে ব্যক্তিগত হাজিরার নির্দেশ দিয়েছিল। কিন্তু রায়বরেলীর কংগ্রেস সাংসদ তা পালন না করায় ২৬ জুলাই হাজিরার ‘শেষ সুযোগ’ দিয়েছে সুলতানপুর আদালত। ২০২৩ সালের বিধানসভা ভোটের প্রচারের সময়ও কর্নাটক বিজেপির তরফে রাহুলের বিরুদ্ধে একটি মানহানির মামলা করা হয়েছিল।
আরও পড়ুন:
প্রসঙ্গত, ২০১৯ সালের লোকসভা ভোটের প্রচারের সময় কর্নাটকের কোলারে ‘মোদী’ পদবি তুলে আপত্তিকর মন্তব্যের দায়ে গত বছরের ২৩ মার্চ গুজরাতের সুরাত ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক এইচএইচ বর্মা দু’বছর জেলের সাজা দিয়েছিলেন রাহুলকে। গুজরাতের প্রাক্তন মন্ত্রী তথা বিজেপি বিধায়ক পূর্ণেশ মোদীর দায়ের করা ওই ‘অপরাধমূলক মানহানি’ মামলায় দোষী রাহুলের লোকসভার সাংসদ পদও বাতিল করা হয়েছিল। এর পর গুজরাত হাই কোর্ট সাজা বহাল রাখলেও গত বছরের ৪ অগস্ট সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি আরএস গাভাই এবং বিচারপতি পিকে মিশ্রের বেঞ্চ সুরাত আদালতের রায়ে স্থগিতাদেশ দেয়। ফলে জেলযাত্রা থেকে রেহাইয়ের পাশাপাশি সাংসদ পদও ফিরে পান রাহুল।