সাধারণ মানুষের পাশে থেকে এবং শ্রেণি অভিমুখ ঠিক রেখে আন্দোলন চালিয়ে যেতে পারলে বাংলায় বামেদের পুনরুত্থান সম্ভব বলে মনে করছেন সিপিএমের সাধারণ সম্পাদক মারিয়ম আলেকজ়ান্ডার বেবি। সদ্য হওয়া ব্রিগেড সমাবেশের চেহারা দেখে দলের রাজ্য কমিটির বৈঠকে সোমবার এই বার্তা দিয়েছিলেন সিপিএমের নতুন সাধারণ সম্পাদক। প্রকাশ্যেও মঙ্গলবার তিনি এই বিশ্বাসের কথা স্পষ্ট করেছেন। বেবির কথায়, ‘‘পার্টি কংগ্রেসে সিদ্ধান্ত হয়েছে, আমাদের শ্রেণি ভিত্তি, তৃণমূল স্তরের কাছে ফিরে যেতে হবে। ব্রিগেডের সমাবেশে গ্রামের গরিব, প্রান্তিক মানুষ বিরাট সংখ্যায় সাড়া দিয়েছেন। পার্টি কংগ্রেসের সিদ্ধান্তের প্রয়োগ হয়েছে সেখানে। এখান থেকে উৎসাহ নিয়ে গণ-আন্দোলন গড়ে তুললে বাংলায় বামেদের ফিরে আসা অবশ্যই সম্ভব।’’
কর্মসূচি বা সভা-সমাবেশে সাড়া মিললেও ভোটের বাক্সে তার প্রতিফলন যে ঘটছে না, তা নিয়ে সিপিএমে চর্চা অনেক দিনের। চলতি মাসের গোড়ায় মাদুরাই পার্টি কংগ্রেসে ত্রুটি সংশোধন এবং আত্মসমীক্ষার কথা হয়েছিল। তার জের টেনেই এ দিন আলিমুদ্দিন স্ট্রিটে দলের রাজ্য দফতরে বেবি বলেছেন, ‘‘আমরা ভুল-ত্রুটি চিহ্নিত করছি, সংশোধন করে এগোতে চাইছি। যাঁরা আমাদের ভাল চেয়ে সমালোচনা করছেন, তাঁদের বক্তব্য থেকেও শিখতে চাইছি। ভুল সংশোধন করে, মানুষের কাছে গিয়েই আমাদের পূর্ণ উদ্যমে কাজ করতে হবে।’’ বেবি ফের বলেছেন, ‘নব্য ফ্যাসিবাদী’ আরএসএস-বিজেপির বিরুদ্ধে সব গণতান্ত্রিক শক্তিকে পাশে নিয়ে লড়তে হবে। তবে তার জন্য দলের নিজস্ব শক্তি বাড়ানো জরুরি।
কলকাতায় প্রমোদ দাশগুপ্ত ভবনে এ দিন সীতারাম ইয়েচুরির নামে কর্মী প্রশিক্ষণ প্রকল্পের সূচনা করেছেন সিপিএমের সাধারণ সম্পাদক। লেনিনের জন্মদিবস উপলক্ষে সেখানে আলোচনা-সভায় বক্তাও ছিলেন বেবি। ছিলেন দলের রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম, প্রবীণ নেতা বিমান বসু, পলিটব্যুরোর সদস্য রামচন্দ্র ডোম, নীলোৎপল বসু, শ্রীদীপ ভট্টাচার্য প্রমুখ।
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)