পুলিশ সূত্রেই জানা গিয়েছে, ‘যৌন হেনস্থা’র শিকার মহিলাদের বিষয়ে বিশদে তথ্য দেওয়ার জন্য সময় চেয়ে নিয়েছেন কংগ্রেস সাংসদ রাহুল। — ফাইল ছবি।
‘ভারত জোড়ো যাত্রা’-য় করা মন্তব্য নিয়ে শুক্রবার সমন পাঠানো হয়েছিল রাহুল গান্ধীকে। জবাব না পেয়ে রবিবার সকালে তাঁর দিল্লির বাড়িতে পৌঁছে যায় পুলিশ। দলে ছিলেন দিল্লি পুলিশের বিশেষ কমিশনার সাগরপ্রীত হুডা, ডেপুটি পুলিশ কমিশনার। পুলিশকে সমন নিয়ে কী বলেছেন রাহুল গান্ধী? পুলিশ সূত্রেই জানা গিয়েছে, ‘যৌন হেনস্থা’র শিকার মহিলাদের বিষয়ে বিশদে তথ্য দেওয়ার জন্য সময় চেয়ে নিয়েছেন কংগ্রেস সাংসদ।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, দুই শীর্ষ পুলিশ আধিকারিক রাহুলের বাড়িতে ঢোকেন। তখন বাড়ির চারপাশে ব্যারিকেড করে রাখা হয়। কয়েক জন কংগ্রেস কর্মী ব্যারিকেড ভেঙে ঢোকার চেষ্টা করেন। তাঁদের আটক করেছে পুলিশ। বিশেষ পুলিশ কমিশনার সাগরপ্রীত সাংবাদিকদের বলেন, ‘‘ওঁর সঙ্গে কথা বলার জন্য এখানে এসেছি। ভারত জোড়ো যাত্রার সময় ৩০ জানুয়ারি শ্রীনগরে একটি মন্তব্য করেছিলেন রাহুল। তিনি বলেছিলেন, যাত্রার সময় একাধিক মহিলার সঙ্গে দেখা হয়েছিল তাঁরা। ওই মহিলারা জানিয়েছিলেন, তাঁরা ধর্ষিত হয়েছেন। তাঁর থেকে ওই মহিলাদের তথ্য জানতে চাই, যাতে তাঁদের সুবিচার দেওয়া যায়।’’
রাহুলের সঙ্গে সাক্ষাতের পর সাগরপ্রীত জানিয়েছেন, রাহুলকে ওই নির্যাতিতাদের তথ্য দেওয়ার জন্য অনুরোধ জানানো হয়েছে। যদিও তিনি কোনও তথ্য দেননি। জানিয়েছেন, তাঁর আরও সময় প্রয়োজন। দিল্লি পুলিশের এই পদক্ষেপকে ধিক্কার জানিয়ে কংগ্রেস টুইটারে লিখেছে, ‘‘ভারত জোড়ো যাত্রা এবং রাহুল গান্ধী মহিলাদের সমস্যার কথা তুলে ধরার জন্য একটি মঞ্চ দিয়েছিল। দিল্লি পুলিশের এই লজ্জাজনক পদক্ষেপ প্রমাণ করে দিল যে, আদানিকাণ্ড নিয়ে আমাদের প্রশ্নে ঘাবড়ে গিয়েছে মোদী সরকার। এ সবে আমাদের সাহস আরও বাড়ছে। আমরা জবাব চাইব।’’
শ্রীনগরে পৌঁছে ‘ভারত জোড়ো যাত্রা’-র শেষে রাহুল বলেছিলেন, দেশে অনেক মহিলাই যৌন নির্যাতনের শিকার হচ্ছে। শুক্রবার দিল্লি পুলিশ সেই নিয়ে রাহুল গান্ধীকে নোটিস পাঠায়। কোন মহিলা যৌন নির্যাতনের শিকার হচ্ছে, তা জানতে চেয়ে রাহুলকে প্রশ্নাবলি পাঠানো হয়।
রাহুলকে পাঠানো নোটিসে বলা হয়েছে, রাহুল যৌন নির্যাতনের শিকার মহিলাদের তথ্য দিলে পুলিশ তাঁদের নিরাপত্তার বন্দোবস্ত করতে পারে। রাহুল শ্রীনগরে জানিয়েছিলেন, ‘ভারত জোড়ো যাত্রা’র সময় একটি মেয়ে তাঁকে এসে বলে, সে ধর্ষণের শিকার। কেন সে পুলিশের কাছে যাচ্ছে না, জানতে চাওয়ায় মেয়েটি বলে, পুলিশকে বললে তাকেই সমাজে লজ্জার মুখে পড়তে হবে। এই মন্তব্যের উল্লেখ করে পুলিশ ওই মেয়েটি সম্পর্কেও বিশদ তথ্য জানতে চেয়েছে।
অমিত শাহের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের অধীনে রয়েছে দিল্লি পুলিশ। তাদের এই পদক্ষেপ নিয়ে কংগ্রেসের খোঁচা, “প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও আদানির সম্পর্ক নিয়ে রাহুলের প্রশ্নে জেরবার মোদী সরকার এখন পুলিশের পিছনে লুকোচ্ছে। ‘ভারত জোড়ো যাত্রা’র ৪৫ দিন পরে দিল্লি পুলিশ নোটিস পাঠাচ্ছে। আইন মেনে নোটিসের উত্তর দেওয়া হবে। সরকার যে আতঙ্কিত, নোটিস তারই প্রমাণ। সরকার তাই বিরোধীদের ভূমিকা, বাক্স্বাধীনতা, গণতন্ত্র, মহিলাদের ক্ষমতায়নে আঘাত করতে চাইছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy