কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধী। ছবি: পিটিআই।
আদালতে যাওয়ার পথে কংগ্রেস সাংসদ তথা লোকসভা বিরোধী দলনেতা রাহুল গান্ধীর গাড়ি থেমে গেল এক দোকানের সামনে। দোকানটিতে জুতো সারাই এবং তৈরি হয়। দোকানের মালিকের আর্থিক অবস্থা যে ভাল নয়, তা তাঁর পোশাক এবং দোকানের অবস্থা দেখেই বোঝা যায়। গাড়ি থেকে নেমে সোজা দোকানে ঢুকে পড়েন রাহুল। কথা বলেন ওই মালিকের সঙ্গে। রাহুলকে কাছে পেয়ে নিজের অভাবের কথা বলেন ওই ব্যক্তি।
উত্তরপ্রদেশের সুলতানপুরের বাসিন্দা রাম চৈত। পেশায় এক জন চর্মকার। রায়বরেলীর সাংসদের কনভয় তাঁর দোকানের পাশের রাস্তা দিয়ে যাবে তা জানতে পেরে আগেই রাস্তায় দাঁড়িয়েছিলেন তিনি। রাহুলের গাড়ি আসতেই হাত দেখিয়ে দাঁড় করান রাম। রাহুল গাড়ি থেকে নেমে এসে কথা বলেন তাঁর সঙ্গে। সেই ভিডিয়ো সমাজমাধ্যমে পোস্ট করেছে কংগ্রেস। অন্তত আধ ঘণ্টা ওই ব্যক্তির বাড়িতে ছিলেন রাহুল।
সংবাদ সংস্থা এএনআইকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে রাম বলেন, ‘‘আমি তাঁকে (রাহুল গান্ধী) বলেছি, আমরা আর্থিক ভাবে কতটা পিছিয়ে রয়েছি। দু’বেলা দু’মুঠো খাবার জোগাড় করতে হিমশিম খেতে হয়। তাঁর কাছে সাহায্য চেয়েছিলাম। আমি তাঁকে দেখিয়েছি কী ভাবে আমি জুতো মেরামত করি।’’
অতীতেও রাহুলকে সাধারণ মানুষের মধ্যে মিশে যেতে দেখা গিয়েছে। কখনও লোকাল ট্রেনে সওয়ার হতে, আবার কখনও কুলির ভূমিকায়। ‘ভারত জোড়ো যাত্রা’র সময় সাধারণ মানুষের সঙ্গে কথা বলতে দেখা গিয়েছে রাহুলকে। কৃষক পরিবারের সঙ্গে বসে খেয়েওছেন তিনি। অনেক কংগ্রেস নেতাই বলতেন, রাহুল দেশবাসীর ঘরের ছেলে। তাঁদের সমস্যা নিয়ে সব সময় ভাবেন তিনি।
উল্লেখ্য, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের বিরুদ্ধে আপত্তিকর মন্তব্য করার অভিযোগ উঠেছিল রাহুলের বিরুদ্ধে। সেই বিষয়টি গড়ায় আদালত পর্যন্ত। গত ২ জুলাই রাহুলকে সশরীরে হাজিরার নির্দেশ দিয়েছিল সুলতানপুরের সাংসদ-বিধায়ক আদালত। সেই মতো শুক্রবার রায়বরেলীর সাংসদ আদালতে উপস্থিত হয়েছিলেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy