প্রধানমন্ত্রীকে দম ফেলার ফুরসত দিতে চাইছেন না রাহুল গাঁধী। কার্যত কার্পেট বম্বিং করে যাচ্ছেন। রাফাল, সিবিআই, জেটলি-চোক্সী আঁতাঁত নিয়ে নরেন্দ্র মোদীকে ঘা দেওয়ার পর কংগ্রেস সভাপতি আজ আরও এক জোড়া বোমা ফেললেন মোদী-শিবিরে। একটি মোদীর বিদেশ সফরের সঙ্গীদের নিয়ে। অপরটি, নিজের ঢাক পেটাতে সরকারি অর্থের অপচয় করা নিয়ে। একই সঙ্গে রাহুল ভোটে কংগ্রেসকে জেতাতে দলের কর্মীদের সর্বশক্তিতে ঝাঁপানোর নির্দেশ দিয়েছেন ভিডিয়ো বার্তায়।
বিজেপি নেতারা প্রকাশ্যে যতই প্রধানমন্ত্রীকে আড়াল করার চেষ্টা করুক, ঘরোয়া স্তরে তাঁরা মানছেন রাফাল নিয়ে লাগাতার প্রচার করে রাহুল এটিকে ‘রাজনেতিক ইস্যু’ বানিয়ে ফেলেছেন। প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে অনিল অম্বানীর যোগসূত্রের বিষয়টি অনেকটাই গেঁথে দিতে পেরছেন জনমনে। সেই সূত্র ধরেই রাহুল অনেক দিন ধরেই প্রশ্ন করে আসছেন, প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বিদেশে কোন কোন বেসরকারি ব্যক্তি যান?
সম্প্রতি তথ্য জানার অধিকার আইনে এই প্রশ্ন করা হলেও সরকার তা জানায়নি। মুখ্য তথ্য আধিকারিক তা জানানোর নির্দেশ দিলেও বিদেশ মন্ত্রক সেই তথ্য জানাতে অস্বীকার করে। তাদের যুক্তি এই তথ্য ‘স্পর্শকাতর’। এই প্রেক্ষিতেই প্রধানমন্ত্রীকে ‘ট্র্যাভেল এজেন্ট’ অ্যাখ্যা দিয়ে রাহুল আজ বিদ্রুপ ছুড়ে দিয়েছেন, ‘‘প্রধানমন্ত্রীর বলা উচিত ছিল, আমি তাঁকেই বিদেশে নিয়ে যাই, যাঁকে আমি না নিয়ে গেলে পুলিশ (ধরে) নিয়ে যাবে।’’
এখানেই শেষ নয়। রাহুল আরও অভিযোগ করেন, কেন্দ্রীয় সরকারের ব্যর্থ প্রকল্পগুলির প্রচারের জন্য রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থাগুলিকে টাকা দিতে বলা হচ্ছে। এ বাবদ ৮২ কোটি টাকা খরচের হিসেবও বাইরে এসেছে। রাহুল বলেন, ‘‘নিজের ব্যর্থ প্রকল্পের মিথ্যা বাহবার ডুগডুগি বাজাতে মোদী ভারতের জনতার ঘাম-রক্তের টাকা ব্যবহার করছেন। প্রধানমন্ত্রীর একমাত্র লক্ষ্য, উন্নয়ন। তবে তা শুধুই নিজের।’’
এ দিনই দিল্লির যন্তর-মন্তরে বিজেপি-ছুট সাংসদ নানা পাটোলেকে দিয়ে খেত-মজদুরদের ছোটখাটো জমায়েত করান রাহুল। লোকসভা ভোটের আগে দিল্লিতে কয়েক লক্ষ কৃষককে এনে বড় সভা করারও পরিকল্পনা রয়েছে। হাতে যেহেতু সময় বেশি নেই, তাই দলকে চাঙ্গা করতে ভিডিয়ো বার্তায় কংগ্রেস সভাপতি বলেছেন, ‘‘কর্মীরাই দলের মেরুদণ্ড। হাতে সময় অল্প। এখন থেকে পুরো শক্তি দিয়ে কংগ্রেসকে জেতাতে ঝাঁপাতে হবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy