রাহুল গাঁধী। ফাইল চিত্র।
পশ্চিমবঙ্গে রাজ্যসভার পঞ্চম আসনটির জন্য বামেদের সঙ্গে কথা বলে কোনও সর্বসম্মত প্রার্থী খোঁজার ভার প্রদেশ কংগ্রেসের উপরেই ছাড়লেন রাহুল গাঁধী। জাতীয় রাজনীতিতে কংগ্রেসের সঙ্গে জোট না বাধার অবস্থান নেওয়া সিপিএম সঙ্গে আসবে কি না, তা নিয়ে অবশ্য সংশয় আছে রাহুলের। আবার প্রদেশ কংগ্রেসের যুক্তি, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে সমঝোতা হলে তৃণমূল বারবারই কংগ্রেসকে ভাঙিয়ে নেয়। বামেদের সঙ্গে সমঝোতার ভিত্তিতে কী ধরনের নিরপেক্ষ মুখ দাঁড় করানো যায়, কংগ্রেস সভাপতিকেও তা দেখার আর্জি জানিয়েছেন প্রদেশ নেতৃত্ব।
বিদেশ সফরে যাওয়ার আগে রাজ্য ধরে ধরে মঙ্গলবার রাজ্যসভা নির্বাচনের প্রার্থী নিয়ে নিজের বাড়িতে বৈঠক করেন কংগ্রেস সভাপতি। পশ্চিমবঙ্গের দুই নেতা অধীর চৌধুরী ও আব্দুল মান্নানকেও ডেকেছিলেন তিনি। বাংলার কংগ্রেস বিধায়কেরা আগেই লিখিত ভাবে জানিয়ে দিয়েছেন, তৃণমূলের সঙ্গে কোনও সমঝোতার পথে তাঁরা আগ্রহী নন। বরং, কোনও নির্দল প্রার্থীকে সামনে রেখে বামেদের সমর্থন নিয়ে পঞ্চম আসনটি বার করার চেষ্টা হতে পারে। সেই সম্ভাবনাই খতিয়ে দেখতে বলেছেন রাহুল।
কংগ্রেসের সঙ্গে সরাসরি রাজনৈতিক সমঝোতায় যেতে সিপিএমের আপত্তি আছে। এই পরিস্থিতিতে সিপিএমের রাজ্য সম্মেলনের ফাঁকে এ দিনই দলের সাধারণ সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরির পাশে বসে রাজ্য সম্পাদক সূর্যকান্ত মিশ্র বলেছেন, ‘‘এমন কোনও নিরপেক্ষ মুখ রাজ্যসভার আসনের জন্য বাছতে হবে, যিনি তৃণমূল বা বিজেপি-পন্থী হবেন না। ভয় বা প্রলোভনে ওই দুই শক্তির দিকে চলে যাবেন না।’’ এমন প্রার্থী খোঁজার জন্য কংগ্রেসের সঙ্গে কথা বলতে তাঁদের আপত্তি নেই বলেও সূর্যবাবু জানিয়েছেন।
দিল্লি ও কলকাতায় দুই শিবিরে আলোচনার বাতাবরণের মধ্যেই এ দিন বিধানসভায় কংগ্রেস বিধায়কদের একাংশ দলের পুরুলিয়ার এক নেতার ঘনিষ্ঠ এক ব্যবসায়ীর নামে প্রস্তাব সই করতে শুরু করেছেন। তাতে আবার নতুন মাত্রা পেয়েছে ঘটনাপ্রবাহ!
কর্নাটক, গুজরাত, মহারাষ্ট্রের নেতাদের সঙ্গেও রাহুল বৈঠক করেছেন। জেএমএম নেতা হেমন্ত সোরেনের সঙ্গেও আলাদা বৈঠক হয়েছে তাঁর। সোরেন বলেন, রাহুল তাঁকে প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন, জেএমএমের নেতৃত্বেই রাজ্যে ভোট হবে। কংগ্রেস সূত্রের বক্তব্য, রাজ্যসভা ভোটে রাহুল প্রতিকূলতার মধ্যেও সর্বাধিক আসন বার করা সুনিশ্চিত করতে চাইছেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy