সমাবেশে: রামলীলা ময়দানে রাহুল গাঁধী। রবিবার। ছবি: এএফপি
হু-হু করে আট হাজার ফুট নীচে নেমে যায় তাঁর বিমান। রাহুল গাঁধী বললেন, ‘‘মনে হয়েছিল এ বারে গেলাম। তার পরেই মনে হল, এ বারে এক বার কৈলাস, মানস সরোবর যাওয়া উচিত।’’ তিন দিন আগের সেই বিমান বিভ্রাটের আতঙ্ক আজ জনসমক্ষে প্রকাশ করে কংগ্রেস সভাপতি বলেন, ‘‘কর্নাটক ভোটের পর ১০-১৫ দিন ছুটি চাই।’’
দিল্লির রামলীলা ময়দানে বক্তৃতা শেষ হয়ে গিয়েছিল রাহুলের। কিছু ক্ষণ বাদে আবার ফিরে এলেন মাইকের সামনে। সকলের সামনেই শোনালেন বৃহস্পতিবার দিল্লি থেকে বিমানে কর্নাটক যাওয়ার অভিজ্ঞতার কথা। কোনও রকমে প্রাণরক্ষার পর ছুটি নিয়ে তিনি যে তীর্থযাত্রায় বেরোতে চান, সে’টিও জানিয়ে দিলেন। বললেন, ‘‘দলের কর্মীদের জন্য কাজ করি। তাই আপনাদের সব কথাই বলি। আপনারা পরিবারের লোক। তাই আপনাদের কাছে অনুমতি চাইছি।’’
এসপিজি নিরাপত্তাধারী রাহুলের বিমানের বিভ্রাটের পর কংগ্রেস গোটা বিষয়ের পিছনে ‘ষড়যন্ত্র’-এরই গন্ধ পেয়েছে। দলের নেতারা বলছেন— সে দিন যে বেঁচে ফিরতে পারবেন, সে সময় রাহুল-সহ বিমানের কোনও যাত্রীরই মনে হয়নি। কংগ্রেস সভাপতি সে কথাটিই আজ সকলকে জানালেন। আর রাহুল বরাবরই শিবভক্ত। তাই প্রাণে বেঁচে ফেরার পর তিনি কৈলাস-মানস দর্শনের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। কিন্তু সেটা কর্নাটকের ভোট মেটার পরেই।
বিষয়টি স্পর্শকাতর বলে গোড়া থেকেই বিজেপি এ’টিকে কোনও রাজনৈতিক অস্ত্র করেনি। ঘটনার পরই ডিজিসিএ জানিয়েছে, অটো-পাইলট বিগড়ে এই বিপত্তি। তবে এ’টি অস্বাভাবিক কিছু নয়। কিন্তু ঘরোয়া স্তরে বিজেপি নেতারা বলছেন, প্রথম দিন থেকেই ‘ষড়যন্ত্র’-এর অভিযোগ তুলে আসলে রাজনীতি করেছেন রাহুলই। আর আজ কৈলাস দর্শনের কথা বলে সুকৌশলে হিন্দুত্বের রাজনীতিকেই এর সঙ্গে জুড়ে নিলেন। আর রাহুলের হঠাৎ ছুটি নেওয়াটা নতুন নয়। আজ এই অজুহাতে ফের সপ্তাহ দুয়েকের ছুটিও তিনি নিয়ে ফেললেন। বিজেপির এক নেতা ঠেস দিয়ে বললেন, ‘‘পার্ট টাইম রাজনীতিক বলেই এত ছুটি নেওয়ার কথা ভাবতে পারেন রাহুল!’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy