Advertisement
০৫ নভেম্বর ২০২৪

মোদী বাহারি, নতুন প্রচারের মন্ত্র ‘ইউপি কো ইয়ে সাথ পসন্দ হ্যায়’

জোট হয়ে গিয়েছে। এ বার সেই জোটকে একেবারে তৃণমূল স্তরের নেতা-কর্মী পর্যন্ত এক সুরে বেঁধে ফেলতে মাঠে নামছেন রাহুল গাঁধী ও অখিলেশ যাদব।

নিজস্ব সংবাদদাতা
নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ২৮ জানুয়ারি ২০১৭ ০৩:৩২
Share: Save:

জোট হয়ে গিয়েছে। এ বার সেই জোটকে একেবারে তৃণমূল স্তরের নেতা-কর্মী পর্যন্ত এক সুরে বেঁধে ফেলতে মাঠে নামছেন রাহুল গাঁধী ও অখিলেশ যাদব।

কংগ্রেস সূত্রের খবর, যৌথ প্রচারকে টানটান করতে সলমন খানের ‘সুলতান’ ছবির একটি গানের অনুকরণে নতুন প্রচারের মন্ত্র হবে ‘ইউপি কো ইয়ে সাথ পসন্দ হ্যায়’। সঙ্গে রাহুল-অখিলেশকে উত্তরপ্রদেশের ঘরের ছেলে হিসেবে তুলে ধরে মোদীকে বাইরের লোক প্রমাণ করতে ‘আপনে লড়কে, মোদী বাহারি’ বলেও প্রচার হবে।

শুক্র ও শনিবার রাহুল পঞ্জাবে ভোটের প্রচারে ব্যস্ত থাকছেন। রবিবারই লখনউ পৌঁছে অখিলেশের সঙ্গে বৈঠকে বসতে চাইছেন তিনি। পরে একসঙ্গে সাংবাদিক সম্মেলন করবেন। উত্তরপ্রদেশে কংগ্রেস প্রথমে ‘২৭ সাল, ইউপি বেহাল’ বলে প্রচারে নেমেছিল। উল্টোদিকে অখিলেশ মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে কাজের খতিয়ানের সাফল্য তুলে ধরে ‘কাম বোলতা হ্যায়’ বলে প্রচার শুরু করেছেন। এখন দু’দলের প্রচারের সূচিমুখ এক বিন্দুতে নিয়ে আসা জরুরি। নরেন্দ্র মোদীর বিরুদ্ধে আক্রমণও জোরালো করে তুলতে চাইছেন দু’জনে।

তবে রাহুল ও সনিয়া গাঁধীর লোকসভা কেন্দ্র অমেঠী-রায়বরেলীতে আসন ভাগাভাগি নিয়ে এখনও সমস্যা মেটেনি। দুটি লোকসভা কেন্দ্রে মোট ১০টি বিধানসভা কেন্দ্র রয়েছে। গত বিধানসভা ভোটে এর মাত্র দু’টিতে জিতেছিল কংগ্রেস। রাজ্যে ৪০৩টি আসনের মধ্যে কংগ্রেসকে ১০৫টি ছেড়ে দিলেও, ওই এলাকায় ১০টির মধ্যে ৫টি আসন কংগ্রেসকে ছাড়তে রাজি হয়েছে সপা। অমেঠী বিধানসভা আসন নিয়ে জট আরও বেশি। ওই আসনে মুলায়ম-ঘনিষ্ঠ নেতা, রাজ্যের মন্ত্রী গায়ত্রী প্রজাপতি প্রার্থী। কিন্তু কংগ্রেস অমেঠীর এক সময়ের রাজা সঞ্জয় সিংহের স্ত্রী অমিতাকে প্রার্থী করতে চাইছে। বিজেপি ওই আসনে সঞ্জয়ের প্রাক্তন স্ত্রী গরিমা সিংহকে প্রার্থী করেছে। রাহুল-অখিলেশের বৈঠকে রফাসূত্র বের হবে বলে কংগ্রেস নেতারা আশা করছেন। শনিবার লখনউয়ে বিজেপির ইস্তাহার প্রকাশ করবেন অমিত শাহ। তার আগে অখিলেশ বিজেপির উপরে চাপ তৈরি করতে মোদীকে চিঠি লিখে দাবি তুলেছেন, উত্তরপ্রদেশ ভোটের পরেই বাজেট পেশ হোক। নির্বাচন কমিশন বাজেটে উত্তরপ্রদেশের জন্য কোনও ঘোষণা করতে মানা করেছে। অখিলেশ পাল্টা দাবি তুলেছেন, এর ফলে উত্তরপ্রদেশ বঞ্চিত হবে। ফলে ভোটের পরেই বাজেট পেশ হোক।

অখিলেশ এ দিন দলের নেতা-কর্মীদের জানিয়েছেন, তিনি এ বার ভোটে লড়বেন না। ২০১৮ পর্যন্ত বিধান পরিষদের সদস্য রয়েছেন তিনি। কাজেই কোনও আসনে না লড়ে সকলের হয়ে প্রচার করবেন।

অন্য বিষয়গুলি:

Modi Akhilesh Rahul gandhi
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE