রাহুল গাঁধী।
নরেন্দ্র মোদী মানে বিদ্বেষ। তিনি ‘বিদ্বেষের প্রতীক’। নিজের নির্বাচনী কেন্দ্র অমেঠী সফরের দ্বিতীয় দিনে এই ভাষাতেই প্রধানমন্ত্রীকে আক্রমণ করলেন রাহুল গাঁধী। বললেন, ‘‘জাতি-ধর্মের নামে বিদ্বেষ ছড়ায় বিজেপি। গুজরাত থেকে উত্তরপ্রদেশ-বিহারের লোকেদের তাড়ানো হচ্ছে। লড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে হিন্দু-মুসলিমকে।’’
বোন প্রিয়ঙ্কা পূর্ব উত্তরপ্রদেশের দায়িত্ব-সহ কংগ্রেসে যোগ দিয়েছেন গত কালই। আজ রাহুলের ঘোষণা, লোকসভা হোক বা বিধানসভা— গুজরাত, উত্তরপ্রদেশ, তামিলনাড়ু-সহ সর্বত্র কংগ্রেস সর্বশক্তি দিয়ে ফ্রন্ট-ফুটে লড়বে। পরবর্তী বিধানসভা ভোটের পরে দেখা যাবে, উত্তরপ্রদেশে কংগ্রেসের সরকার এসেছে। সেই গুরুদায়িত্বই তিনি দিয়েছেন প্রিয়ঙ্কাকে। কংগ্রেস সভাপতির কথায়, ‘‘আমি প্রধানমন্ত্রী মোদীর কায়দায় বিজেপি-মুক্ত ভারতের কথা বলব না। আমরা সবাইকে সম্মান দিই।’’ কংগ্রেসকে বাদ দিয়ে জোট করলেও তিনি যে মায়াবতী, অখিলেশ এবং মুলায়ম সিংহের প্রতি শ্রদ্ধাশীল, সে কথা আজও বলেছেন রাহুল।
আর ঘুরে-ফিরে পুরনো বাক্যবাণে বিঁধেছেন মোদীকে। ‘গলি গলি মে শোর হ্যায়, চৌকিদার চোর হ্যায়’ স্লোগান তুলেছেন, মোদী শুধু শিল্পপতিদেরই ঋণ মকুব করেন বলে অভিযোগ তুলেছেন, সিবিআই ডিরেক্টরকে তাড়াহুড়ো করে সরানো নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন, নোটবন্দিকে ‘সব চেয়ে বড় কেলেঙ্কারি’ বলে তোপ দেগেছেন। ঘটনাচক্রে, গত কাল অমেঠীতে রাহুলের বিরুদ্ধেই বিক্ষোভ দেখিয়েছেন চাষিদের একাংশ। আশির দশকে রাজীব গাঁধীর উদ্বোধন করা (এখন বন্ধ) ‘সম্রাট সাইকেল’-এর কারখানার সামনে বিক্ষোভ দেখিয়ে চাষিরা দাবি করেন, ওই প্রকল্পের জন্য তাঁরা জমি দিয়েছিলেন। হয় সেই জমি ফেরতের ব্যবস্থা হোক, নয়তো চাকরির। ‘‘রাহুল ইটালি ফেরত যান’’ বলেও ক্ষোভ জানান এক চাষি।
রাহুল যদিও আজই চাকরির প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন নিজের কেন্দ্রে। বলেছেন, উত্তরপ্রদেশে মোদী যে সব প্রকল্প বন্ধ করেছেন, তা চালু করবেন। অভিযোগ করেছেন, তাঁর নির্বাচনী কেন্দ্রে উন্নয়নের গতি শ্লথ করে দিচ্ছে বিজেপি। এবং বলেছেন, ‘‘২০১৯ সালে মোদীকে সরাবই। কেউ আটকাতে পারবে না।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy