ঘটনাস্থল ঘুরে দেখলেন রাহুল গাঁধী। বৃহস্পতিবার। ছবি: পিটিআই।
উত্তরপ্রদেশের উনচাহারে এনটিপিসি-র তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রে বয়লার বিস্ফোরণে মৃতের সংখ্যা বেড়ে হলো ২৯। গত কালের ঘটনায় গুরুতর আহতদের মধ্যে ৯ জন হাসপাতালে মারা গিয়েছেন বলে আজ জানিয়েছে যোগী সরকার। গুজরাতের নির্বাচনী প্রচার মাঝপথে থামিয়ে আজ সকালেই ঘটনাস্থলে উড়ে আসেন কংগ্রেস সহ-সভাপতি রাহুল গাঁধী। তাঁর সঙ্গে ছিলেন প্রবীণ নেতা গুলাম নবি আজাদ ও প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি রাজ বব্বর। রাহুল জানিয়েছেন, দু’দিন আগেই হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেয়েছেন রায়বরেলীর সাংসদ সনিয়া গাঁধী। তা না হলে নিজেই এসে দুর্ঘটনাগ্রস্তদের সঙ্গে কথা বলতেন।
ঘটনাস্থল খুঁটিয়ে দেখে রাহুলরা মর্গ ও জেলা হাসপাতালে যান। কথা বলেন আহত ও মৃতদের আত্মীয়দের সঙ্গে। কারখানায় কত জন কাজ করতেন, অকুস্থলে রাহুলকে বিষয়টি নিয়ে মৃদুস্বরে প্রশ্ন করতে শোনা যায়। পরে সাংবাদিকদের তিনি বলেন, ‘‘অনেকেই জানিয়েছেন, ওই ইউনিটটি ঠিকঠাক পরীক্ষা না করে, সময়ের আগেই চালানো শুরু করে দেওয়া হয়েছিল। এর যথাযথ তদন্ত হওয়া দরকার।’’ আজাদ এক ধাপ এগিয়ে, নিরপেক্ষ কোনও সংস্থাকে দিয়ে উচ্চপর্যায়ের তদন্তের দাবি তোলেন। কারখানা ঘুরে দেখার সময় রাহুল মুখোমুখি পড়ে যান কেন্দ্রীয় বিদ্যুৎ মন্ত্রী আর কে সিংহের।
পরে মন্ত্রী জানান, তাড়াহুড়ো করে ইউনিট চালু করা হয়নি। তাঁর দাবি, ঘটনার জন্য দায়ী যন্ত্রটির নক্সা অথবা রক্ষণাবেক্ষণের অভাব। তবে কারণ খুঁজতে তদন্ত শুরুও হয়ে গিয়েছে।
তিনি জানান, এনটিপিসি মৃতের পরিবারের জন্য ক্ষতিপূরণ পাঁচ লক্ষ থেকে বাড়িয়ে কুড়ি লক্ষ করেছে। সংস্থার তরফে একটি বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, ‘‘গতকাল দুপুর সাড়ে তিনটেয় উনচাহার কেন্দ্রের ছ’নম্বর ইউনিটে ২০ মিটার উঁচুতে হঠাৎ অস্বাভাবিক শব্দ শোনা যায়। দু’ নম্বর কর্নারের একটা খোলা অংশ দিয়ে গ্যাস ও বাষ্প বেরিয়ে আসায় ঝলসে যান কর্মীরা। তাঁদের মধ্যে ৮০ জনকে সঙ্গে সঙ্গে এনটিপিসি-র হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।’’ প্রধানমন্ত্রীর দফতর থেকেও মৃতদের আত্মীয়দের জন্য ২ লক্ষ টাকা ও আহতদের জন্য পঞ্চাশ হাজার টাকা করে ত্রাণ ঘোষণা করা হয়েছে। এ নিয়ে যোগী সরকারকে নোটিস দিয়েছে জাতীয় মানবাধিকার কমিশন।
এই বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকেই বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হয় ন’টি রাজ্যে। প্রায় ৮৭০ জন কাজ করেন ওই কেন্দ্রে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy