সিভি আনন্দ বোস। —ফাইল ছবি।
আরজি কর-কাণ্ডের জেরে এ বার আর ‘দুর্গা রত্ন’ সম্মানের আয়োজন করছে না রাজভবন। বুধবার মহালয়ার পর দেবীপক্ষের সূচনা হয়ে গিয়েছে। কিন্তু এই পুরস্কার আয়োজন সংক্রান্ত কোনও ঘোষণা করেনি রাজভবন। বৃহস্পতিবার এই সংক্রান্ত বিষয়ে জানতে রাজভবনের এক মুখপাত্রের কাছে জানতে চাওয়া হলে, তিনি বলেন, ‘‘রাজ্যের বর্তমান পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে এ বার আর এই ধরনের পুরস্কারের আয়োজন করা হচ্ছে না।’’ তবে পুজোর উদ্বোধনে অংশ নিতে দেখা যাবে রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসকে। অথচ, গত বছর পুজোর আগে রাজভবনের তরফে বিবৃতি দিয়ে জানানো হয়েছিল যে এ বার সেরা পুজো প্যান্ডেলকে পাঁচ লক্ষ টাকা দেওয়া হবে। বিজয়া দশমীর দিন দেওয়া হবে ওই পুরস্কার। কোনটি সেরা পুজো প্যান্ডেল হবে, তা বাছবেন সাধারণ মানুষই। রাজভবনের তরফে স্পষ্ট জানানো হয়েছে, এ ক্ষেত্রে সরকারি অর্থ খরচ করা হবে না। রাজভবনের তরফে একটি মেল আইডি দেওয়া হয় আবেদন জানাতে। কিন্তু এ বছর আরজি কর-কাণ্ডের জেরে সেই উদ্যোগের আয়োজন করার বিষয়ে সায় দেননি রাজ্যপাল, এমনটাই রাজভবন সূত্রে খবর।
তবে এমনটা নয় যে, বাঙালির সেরা উৎসবে অংশগ্রহণ থেকে বিরত থাকছেন রাজ্যপাল। রাজ্যের বেশ কিছু পুজো কমিটির আমন্ত্রণে সাড়া দিয়ে উদ্বোধন করবেন রাজ্যপাল। ৪ অক্টোবর শুক্রবার তাঁর কাঁথি শহরে পুজোর উদ্বোধন করতে যাওয়ার কথা। কাঁথি শহরের নান্দনিক ক্লাবের পুজোর সঙ্গে আবার অধিকারী পরিবার যুক্ত। কাঁথির বিজেপি সাংসদ সৌমেন্দু অধিকারী এই পুজোর অন্যতম কর্তা। সেই পুজোর উদ্বোধন করতে শুক্রবার কাঁথি শহরে যেতে পারেন আনন্দ বোস। আবার ৮ অক্টোবর রাজভবনের কোয়াটার্সে আয়োজিত দুর্গাপুজোর মণ্ডপের উদ্বোধন করবেন রাজ্যপাল।
প্রসঙ্গত, ২০২২ সালের নভেম্বর মাসে পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপালের দায়িত্বে আসেন বোস। তার পর বাঙালিয়ানাকে সঙ্গী করতে ২০২৩ সালের ২৬ জানুয়ারি সরস্বতী পুজোর দিন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপস্থিতিতে বাংলা শেখার হাতেখড়ি হয়েছিল রাজ্যপালের। কিন্তু তার পর থেকেই রাজ্য সরকারের সঙ্গে সম্পর্কের অবনতি হয় তাঁর। আর ২০২৩ সালের অক্টোবর মাসের শারদোৎসবে সেরা পুজোকে পুরস্কার দেওয়ার কথা ঘোষণা করেন আনন্দ বোস। সেই পর্যায়ে পশ্চিমবঙ্গের চারটি পুজোকে সেরা হিসেবে বাছাই করে পাঁচ লক্ষ টাকা পুরষ্কার দেওয়ার ঘোষণা হয়। টালা প্রত্যয়, নেতাজি কলোনি লো-ল্যান্ড, বরাহনগর বন্ধুদল স্পোর্টিং ও কল্যাণী লুমিনাস ক্লাবকে এই পুরস্কার দেওয়ার কথা ঘোষণা করে রাজভবন। কিন্তু এই চার ক্লাবই রাজভবনের পুরস্কার নিতে অস্বীকার করেন। যা নিয়ে বিতর্ক তৈরি হয়। পাল্টা অভিযোগ ওঠে, শাসকদলের সঙ্গে সংঘাতের জেরেই পুজো কমিটিগুলি এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আর এ বছর আরজি কর-কাণ্ডের জেরে এই পুরস্কার দেওয়া বন্ধ রাখছে রাজভবন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy