—ফাইল চিত্র।
বিবাহিত সম্পর্কে ধর্ষণের ঘটনা ঘটলে তাকে অপরাধ বলে দেগে দিতে নারাজ কেন্দ্র। সুপ্রিম কোর্টকে কেন্দ্রীয় সরকার বলেছে, ওই ধরনের ঘটনাকে যেন ফৌজদারী অপরাধের তালিকায় ফেলা না হয়। কারণ হিসাবে দেশের শীর্ষ আদালতে তিনটি যুক্তি পেশ করেছে তারা।
কেন্দ্রের প্রথম যুক্তি হল, বিবাহিত সম্পর্কে মহিলাদের অধিকার নিয়ে দেশে যা আইন রয়েছে, তাই ওই ধরনের ঘটনা ঠেকানোর জন্য যথেষ্ট। তার জন্য আলাদা করে ওই ঘটনাকে অপরাধের তালিকাভুক্ত করার দরকার নেই। দ্বিতীয়ত, কেন্দ্র বলেছে, ওই ধরনের ঘটনাকে অপরাধের তালিকায় ফেলা সুপ্রিম কোর্টর ক্ষমতার আওতাভুক্ত নয়। কেন্দ্রের তৃতীয় যুক্তিটি হল, বৈবাহিক সম্পর্কে ধর্ষণের ঘটনা যত না আইনি বিষয়, তার থেকে অনেক বেশি একটি সামাজিক বিষয়। তাই ওই বিষয়ে সমস্ত পক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে তবেই সিদ্ধান্ত নেওয়া যাবে।
তবে বৈবাহিক ধর্ষণকে অপরাধের তালিকায় ফেলতে না চাইলেও কেন্দ্র মেনে নিয়েছে যে, বিয়ে কখনওই মহিলাদের সম্মতি দেওয়ার বা সম্মত হওয়ার অধিকার কেড়ে নেয় না। তাই সেই অধিকার ভাঙলে তার আইনি পরিণাম ভুগতেই হবে। যদিও কেন্দ্র একসঙ্গেই জানিয়েছে, বিবাহিত সম্পর্কে ওই অধিকার ভঙ্গের শাস্তি এক রকম হওয়ার কথা। কিন্তু তা বিবাহের বাইরে হলে অন্য ভাবে বিবেচ্য। কেন্দ্রের বক্তব্য, বিবাহ কখনওই স্ত্রীর ইচ্ছার বিরুদ্ধে যৌন সম্পর্কে বাধ্য করার অধিকার দেয় না স্বামীকে। তবে ওই ধরনের ঘটনা ঘটলে অপরাধীকে ধর্ষণ বিরোধী আইনে শাস্তি দিলে, বিচারে সমতা থাকবে না।
ধর্ষণ বিরোধী আইন নিয়ে দিল্লিতে ইতিমধ্যেই সরব হয়েছে বিরোধীরা। পশ্চিমবঙ্গে আরজি করের ঘটনার বিরুদ্ধে সরব হয়েছে কেন্দ্রের শাসক দল বিজেপিও। অথচ কেন্দ্রের সেই বিজেপি সরকারই বৈবাহিক ধর্ষণকে অপরাধের আওতায় ফেলতে না চেয়ে বলেছে, ‘‘বৈবাহিক সম্পর্কে এক জন বিবাহিত মহিলার সম্মতি জানানোর অধিকার সংরক্ষণ করার ব্যাপারে পদক্ষেপ করেছে। ‘গার্হস্থ্য হিংসা থেকে মহিলাদের রক্ষা করার আইন ২০০৫’-এ বিবাহিত মহিলারা সাহায্য পেতে পারেন।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy