হরিয়ানার কুরুক্ষেত্রে জাতীয় সড়ক আটকে প্রতিবাদ কৃষকদের। —পিটিআই।
ফসলের ন্যায্য সহায়ক মূল্যের দাবিতে হরিয়ানার বিজেপি সরকারের উপর চাপ বৃদ্ধি করলেন কৃষকেরা। সোমবার দুপুরে তাঁদের একাংশ চণ্ডীগড়, দিল্লি জাতীয় সড়ক অবরোধ করেন। ট্র্যাক্টর দাঁড় করিয়ে দিয়ে সড়কের যান চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়। প্রশাসনের তরফে দিল্লিমুখী গাড়িগুলিকে বিকল্প পথে ঘুরিয়ে দেওয়া হচ্ছে। বিক্ষোভকারী কৃষকদের বক্তব্য, সরকারের প্রতিশ্রুতি সত্ত্বেও দাবিপূরণ না হওয়ায় তাঁরা কুরুক্ষেত্র জেলার পিপলি গ্রামে মহাপঞ্চায়েতের ডাক দিয়েছেন। এই মহাপঞ্চায়েতে যোগ দিয়েছেন কুস্তিগির সাক্ষী মালিক, কৃষক নেতা রাকেশ টিকায়েত এবং পঞ্জাব, হরিয়ানা, উত্তরপ্রদেশের অন্যান্য কৃষক সংগঠনের নেতারা।
কৃষকদের অভিযোগ, সূর্যমুখী বীজ চাষ করে তাঁদের লোকসান হয়েছে। কারণ সরকার এ ক্ষেত্রে ন্যায্য সহায়ক মূল্য দিচ্ছে না। সোমবার মহাপঞ্চায়েত থেকে কৃষক নেতারা স্লোগান দেন, ‘‘এমএসপি দাও, কৃষক বাঁচাও।’’ শনিবার অবশ্য হরিয়ানার মুখ্যমন্ত্রী মনোহরলাল খট্টর সারা রাজ্যের সূর্যমুখী চাষিদের জন্য ২৯.১৩ কোটি টাকা বরাদ্দ করেন। হরিয়ানা প্রশাসন সূত্রে খবর, রাজ্যে ৩৬,৪১৪ একর জমিতে সূর্যমুখীর চাষ হয়। গত বছরই হরিয়ানার বিজেপি সরকার জানিয়েছিল, ন্যায্য সহায়ক মূল্যের কমে সূর্যমুখী চাষিরা তাঁদের ফসল বিক্রি করলে সরকার ক্ষতিপূরণ দেবে। সে ক্ষেত্রে প্রতি কুইন্টাল ফসলে ১ হাজার টাকা ক্ষতিপূরণ পাবেন কৃষকরা।
কৃষকদের অবশ্য দাবি, ন্যূনতম সহায়ক মূল্য হিসাবে ৬,৪০০ টাকায় সূর্যমূখী বীজ কিনতে হবে সরকারকে। হরিয়ানা পুলিশ সূত্রে খবর, জাতীয় সড়ক অবরোধ করার জন্য বেশ কয়েকজনকে কৃষককে গ্রেফতার করা হয়েছে। সম্প্রতি মুখ্যমন্ত্রী খট্টরও কৃষকদের একাংশের বিরুদ্ধে রাজনীতি করার অভিযোগ তুলেছিলেন। সর্বভারতীয় কুস্তি সংস্থার প্রধান ব্রিজভূষণ শরণ সিংহের বিরুদ্ধে যৌন হেনস্থার অভিযোগ তুলে দেশের কৃতী কুস্তিগিরেরা যে প্রতিবাদ-আন্দোলন করছেন, একাধিক কৃষক সংগঠনকে তার পাশে দাঁড়াতে দেখা গিয়েছে। কৃষক সংগঠনগুলির এই ‘সক্রিয়তা’ হরিয়ানার বিজেপি সরকারকে চাপে রাখবে বলেই মনে করছেন অনেকে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy