আসছে ঘূর্ণিঝড় ‘বিপর্যয়’। কালো মেঘে ঢেকেছে গুজরাতের উপকূলবর্তী একটি এলাকা। —পিটিআই।
আরব সাগরে তৈরি হওয়া ঘূর্ণিঝড় ‘বিপর্যয়’-এর মোকাবিলায় প্রশাসনের তরফে প্রস্তুতি কেমন, তা খতিয়ে দেখতে বৈঠক করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। কেন্দ্রীয় আবহাওয়া দফতর সূত্রে খবর, সোমবার ঘূর্ণিঝড়টি আরও শক্তি বৃদ্ধি করে উত্তর দিকে এগিয়ে চলেছে। আগামী বৃহস্পতিবার গুজরাতের কচ্ছ উপকূলে সেটি আছড়ে পড়তে পারে।
সোমবার বৈঠকে দুর্যোগ মোকাবিলায় এবং সম্ভাব্য ক্ষয়ক্ষতি রুখতে প্রশাসনের তরফে কী পদক্ষেপ করা হয়েছে, তা সবিস্তারে প্রধানমন্ত্রীকে জানান সরকারি আধিকারিকরা। জাতীয় আবহাওয়া দফতর সূত্রে খবর, ‘বিপর্যয়’-এর জেরে মুম্বই এবং মহারাষ্ট্রের নানা এলাকায় বিক্ষিপ্ত ভাবে বৃষ্টিপাত শুরু হয়েছে। রবিবার সন্ধ্যায় আবহাওয়া খারাপ থাকার কারণে মুম্বই বিমানবন্দরের একাধিক বিমান বাতিল করে দেওয়া হয়। হাওয়া অফিসের তরফে সর্বশেষ বুলেটিনে জানানো হয়েছে, বৃহস্পতিবার দুপুরে গুজরাতের মান্ডবি এলাকা এবং পাকিস্তানের করাচির মধ্যবর্তী এলাকায় আছড়ে পড়তে পারে ‘বিপর্যয়’। ইতিমধ্যেই গুজরাতে কমলা সতর্কতা জারি করা হয়েছে। এএনআই সূত্রে খবর, গুজরাতের কচ্ছ উপকূলবর্তী এলাকা থেকে বাসিন্দাদের অস্থায়ী শিবিরে স্থানান্তরিত করা হচ্ছে।
সমুদ্র বন্দরগুলিতেও সতর্কতা জারি করা হয়েছে। প্রয়োজনে বন্দরগুলি থেকে মাঝসমুদ্রমুখী জাহাজগুলিকে ঝড়ের সতর্কবার্তা পাঠানো হবে। গুজরাতের দীনদয়াল বন্দর থেকে ইতিমধ্যেই ছ’টি জাহাজ গভীর সমুদ্রে গিয়েছে। সোমবারের মধ্যে আরও ১১টি জাহাজের বন্দর ছেড়ে যাওয়ার কথা। স্থানীয় প্রশাসন সূত্রে খবর, জাহাজের নাবিকদের সতর্ক থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। মৎস্যজীবীদেরও গভীর সমুদ্রে মাছ ধরতে যেতে নিষেধ করা হয়েছে। সিন্ধু এবং মাকরানের উপকূলবর্তী এলাকায় মঙ্গলবার থেকে ঝড়বৃষ্টি হতে পারে বলে জানিয়েছে পাকিস্তানের আবহাওয়া দফতরও। সিন্ধু এবং বালুচিস্তান প্রদেশের স্থানীয় প্রশাসনকেও সতর্ক থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy