Advertisement
০৩ নভেম্বর ২০২৪
National News

শহিদ কম্যান্ডোকে সম্মান, চোখ ভিজে এল রাষ্ট্রপতির

প্রজাতন্ত্র দিবসে প্রয়াত বায়ুসেনাকর্মীর পরিবারের হাতে সম্মান তুলে দিয়ে আবেগপ্রবণ হয়ে পড়লেন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ। জম্মু-কাশ্মীরে জঙ্গি বিরোধী অভিযানে গিয়ে শহিদ হওয়া গরুড় কম্যান্ডোর পরিজনদের হাতে শুক্রবার মরণোত্তর সম্মান তুলে দিলেন রাষ্ট্রপতি।

শহিদ কর্পোরাল জ্যোতিপ্রকাশ নিরালার পরিজনদের মাথায় সহানুভূতির স্পর্শ রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দের। ছবি: পিটিআই।

শহিদ কর্পোরাল জ্যোতিপ্রকাশ নিরালার পরিজনদের মাথায় সহানুভূতির স্পর্শ রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দের। ছবি: পিটিআই।

সংবাদ সংস্থা
নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ২৬ জানুয়ারি ২০১৮ ২২:৫৩
Share: Save:

প্রজাতন্ত্র দিবসে প্রয়াত বায়ুসেনাকর্মীর পরিবারের হাতে সম্মান তুলে দিয়ে আবেগপ্রবণ হয়ে পড়লেন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ। জম্মু-কাশ্মীরে জঙ্গি বিরোধী অভিযানে গিয়ে শহিদ হওয়া গরুড় কম্যান্ডোর পরিজনদের হাতে শুক্রবার মরণোত্তর সম্মান তুলে দিলেন রাষ্ট্রপতি। তার পরেই ভিজে এল চোখ, উঠে এল রুমাল।

ভারতীয় বায়ুসেনার বিশেষ ভাবে প্রশিক্ষিত গরুড় কম্যান্ডো বাহিনীর সদস্য ছিলেন কর্পোরাল জ্যোতিপ্রকাশ নিরালা। জঙ্গি বিরোধী অভিযানে যে অসীম সাহসিকতার পরিচয় দিয়ে শহিদ হয়েছিলেন কর্পোরাল নিরালা, তাকে স্বীকৃতি দেওয়ার সিদ্ধান্ত আগেই নিয়েছিল সরকার। দেশের সর্বোচ্চ শান্তিকালীন সামরিক সম্মান ‘অশোক চক্র’ দেওয়া হবে শহিদ কম্যান্ডোকে, জানিয়েছিল সরকার। প্রথা মাফিক এ দিন প্রজাতন্ত্র দিবসের মঞ্চ থেকেই রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ সেই মরণোত্তর সম্মান তুলে দেন কর্পোরাল নিরালার স্ত্রী সুষমা এবং মা মালতী দেবীর হাতে।

কর্পোরাল নিরালার মা ও স্ত্রীয়ের হাতে ‘অশোক চক্র’ সম্মান তুলে দিয়ে এ দিন আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন রাষ্ট্রপতি। তাঁকে রুমাল দিয়ে চোখ মুছতে দেখা যায়।

বায়ুসেনার গরুড় স্পেশাল ফোর্সেস ইউনিটের সদস্য কর্পোরাল জ্যোতিপ্রকাশ নিরালা জম্মু-কাশ্মীরে কর্মরত ছিলেন। রাষ্ট্রীয় রাইফেলসের সঙ্গে কাজ করছিল গরুড় বাহিনীর একটি ছোট অংশ। সেই দলেই ছিলেন কর্পোরাল নিরালা।

আরও পড়ুন: কাশ্মীরে খতম লকভির ভাইপো-সহ ৬ জঙ্গি, নিহত এক কম্যান্ডোও

আরও পড়ুন: ১০ আসিয়ান দেশের ২৭ সংবাদপত্রে ছাপা হল মোদীর লেখা

গোপন সূত্রে পাওয়া খবরের ভিত্তিতে ২০১৭-র ১৮ নভেম্বর রাষ্ট্রীয় রাইফেলস জম্মু-কাশ্মীরের বান্দিপোরার একটি গ্রামে অভিযান চালায়। গরুড় কম্যান্ডোরা অত্যন্ত গোপনে জঙ্গি আস্তানা ঘিরে ফেলেন এবং জঙ্গিদের সঙ্গে বাহিনীর একেবারে মুকোমুখি লড়াই শুরু হয়। সেই লড়াইয়ে অসামান্য বীরত্বের পরিচয় দিয়েছিলেন কর্পোরাল নিরালা। তাঁকে একঝাঁক গুলি ঝাঁঝরা করে দেওয়ার পরেও দীর্ঘক্ষণ কিন্তু লড়াই চালিয়ে গিয়েছিলেন। যে বাড়িতে জঙ্গি ঘাঁটি ছিল। সেই বাড়ি থেকে বেরনোর মূল পথ আগলে এমন ভাবে লড়েছিলেন কর্পোরাল নিরালা যে, জঙ্গিরা পারেনি।

সে লড়াইয়ে ৬ জঙ্গির মৃত্যু হয়। মৃতদের মধ্যে একজন ২৬/১১ জঙ্গিহানার মাস্টারমাইন্ড জাকিউর রহমান লকভির ভাইপো। মৃত ৬ জঙ্গির মধ্যে ৩ জনই সে দিন খতম হয়েছিল কর্পোরাল জ্যোতিপ্রকাশ নিরালার গুলিতে। প্রতিরক্ষা মন্ত্রক বিবৃতি দিয়ে কর্পোরাল জ্যোতিপ্রকাশ নিরালার অসীম সাহসিকতা এবং বীরত্বের প্রশংসা করে। মরণোত্তর সর্বোচ্চ শান্তিকালীন সামরিক সম্মানের জন্য তাঁর নামও সুপারিশ করা হয়। আজ সেই সম্মান আনুষ্ঠানিক ভাবে তুলে দেওয়া হল কর্পোরাল নিরালার পরিবারের হাতে।

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE