মাকে মেয়ে জানিয়েছিলেন খুন হয়েছেন স্বামী। তার পর মুস্কান রস্তোগীকে নিয়ে যখন থানায় যাচ্ছিলেন বাবা প্রমোদ রস্তোগী, তখনই মেয়ে খুনের কথা স্বীকার করেন। প্রৌঢ়ের দাবি, থানায় যাওয়ার পথে স্কুটার থামিয়ে মেয়ের কাছে সত্যি জানতে চান। তখন মেয়ে জানান, মার্চেন্ট নেভি অফিসার স্বামীকে খুন করে ১৫ টুকরো করার কথা। এ-ও জানান, বন্ধু সাহিল শুক্লের সঙ্গে সৌরভ রাজপুতের দেহ কী ভাবে ড্রামে ফেলে সিমেন্ট ঢেলে দিয়েছেন। প্রমোদ তাজ্জব হয়ে যান। স্কুটি স্টার্ট করে মেয়েকে বলেন, ‘‘পুলিশের কাছে সব সত্যি বলবে।’’ প্রৌঢ় চান, মৃত জামাই যেন দ্রুত সুবিচার পান। আর সেটা হবে, তাঁর মেয়ের ফাঁসি হলে!
মেরঠ খুনের মামলার তদন্তে পুলিশ জানতে পেরেছে, গত ৪ মার্চ খুন করা হয় সৌরভকে। তার পরে মানালি বেড়াতে যান মুস্কান ও তাঁর প্রেমিক সাহিল। ফিরে এসে রঙের উৎসবেও মেতেছিলেন দু’জন। তার পরে এক দিন বাপের বাড়ি যান মুস্কান। তার পরেই প্রকাশ্যে আসে সৌরভ-খুনের ঘটনা।
মুস্কানের বাবা প্রমোদ বলেন, ‘‘আমরা থানার দিকে যাচ্ছিলাম। হঠাৎ স্কুটি থামিয়ে ওকে (মেয়েকে) বলি, ‘আমায় সত্যিটা বল।’ তখন ও স্বীকার করে যে বন্ধুর সঙ্গে মিলে স্বামীকে হত্যা করেছে। দেহ কেটে লুকিয়ে রেখেছে একটি প্লাস্টিকের ড্রামে। তার উপরে সিমেন্ট ঢেলে দেয়... এ ভাবেই সমাধান হয়েছে।’’ প্রৌঢ়ের সংযোজন, ‘‘এই মামলার বিচার দ্রুত হোক। আর মৃত্যুদণ্ডের চেয়ে আমি কিছু চাই না। ও (মেয়ে) যা করেছে, সেটা খুব খারাপ... আমার মৃত জামাই বিচার পাক।’’
আরও পড়ুন:
মুস্কানের মা কবিতা জানান, তাঁর মেয়ে কখনও তাঁদের সঙ্গে কোনও সমস্যার কথা বলতেন না। তাঁদের মধ্যে কথাবার্তা কম হত। তিনি বলেন, ‘‘সবাইকে বলব, বাবা-মায়ের কাছে কিছু লুকিয়ো না। আমাদের সন্তান বড় ভুল করেছে। আর কেউ যেন এমন ভুল না করে থাকে।’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘আমি সর্বদা মেয়ের বন্ধু হওয়ার চেষ্টা করেছি। কিন্তু ও আমাদের এড়িয়ে চলত। গত ২ বছরে মেয়ের ১০ কেজি ওজন কমে গিয়েছিল। খোঁজ নিয়ে জানতে পারি, ও মাদকের নেশায় জড়িয়ে পড়েছে।’’